অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি

0

court

প্রেমের ঘটনার জের ধরে চট্টগ্রামে তাজউদ্দিন বাবু নামে এক যুবক খুনের দায়ে সৌমিত্র বড়ুয়া বাবু নামে একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই রায়ে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত নাজিম উদ্দিন ওরফে সুজন নামে একজনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

বুধবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নূরুল ইসলাম এ রায় দিয়েছেন।

দন্ডিত সৌমিত্র বড়ুয়া বাবু বর্তমানে হাজতে আছে। খালাস পাওয়া নাজিম উদ্দিন ঘটনার পর থেকেই পলাতক।

রাষ্ট্রপক্ষে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর পিপি এডভোকেট নোমান চৌধুরী বলেন, দন্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় আসামি সৌমিত্র বড়ুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমরা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। এজন্য আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। অন্য আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করা যায়নি।

পিপি জানান, নগরীর সদরঘাট এলাকার বাসিন্দা তাজউদ্দিন বাবু রিয়াজউদ্দিন বাজারের তামাকমুন্ডি লেইনে ইকবাল স্টোর নামে একটি দোকানে চাকরি করতেন। সৌমিত্র বড়ুয়া ও নাজিম উদ্দিন তার পূর্ব পরিচিত ছিল। তাজউদ্দিনের ছোট বোন সৌমিত্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। তাজউদ্দিন এতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এতে সৌমিত্র ও নাজিম ক্ষুব্ধ হয়ে তাজউদ্দিনকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০৫ সালের ২৭ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাজউদ্দিনকে চাকুরি দেয়ার কথা বলে সৌমিত্র ও নাজিম নগরীর ফিরিঙ্গী বাজার (আলকরণ এলাকা) বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তার মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাজউদ্দিনের গলা কেটে হত্যা করে।

পরে সন্ধ্যায় লাশ বস্তায় ভরে অভয়মিত্র ঘাটে দিয়ে কর্ণফুলী নদীতে ফেলে দেয়ার সময় স্থানীয় জনতা সৌমিত্রকে ধরে ফেলে এবং পুলিশে তুলে দেয়। নাজিম ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ওইদিন রাতেই তাজউদ্দিনের বড় ভাই জাহাঙ্গির উদ্দিন বাদি হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

বাদি জাহাঙ্গির উদ্দিন জানান, তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ১০ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ। ২০০৬ সালের ৪ এপ্রিল দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

চার্জশীটে উল্লেখ থাকা ২৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেয়া হয়েছে। দন্ডিত আসামী সৌমিত্র বড়ুয়া বাবু চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলে জানাগেছে।