অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

১৪ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রামে শুরু হচ্ছে একুশে বই মেলা

0
.

আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারী চট্টগ্রামের ডিসি হিলে শুরু হচ্ছে একুশে বই মেলা। একুশ মেলা পরিষদের আয়োজনে এ মেলা চলবে ১০দিন।

এ উপলক্ষে রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মেলা পরিষদের মহাসচিব, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব।

সংবাদ সম্মেলন বলা হয়, চট্টগ্রামে সৃজনশীল বই প্রকাশনার সংকট ও বন্ধগত্ব আমাদেরকে বেদনাহত করে। এক সময় চট্টগ্রামের বইঘর সারাদেশে সৃজনশীল বই প্রকাশনায় সারাদেশে আলো ছড়িয়ে ছিল। প্রতিষ্ঠানটি এখন অবলুপ্ত। হাতেগোনা যে ক’টি প্রকাশনা সংস্থা রয়েছে সেগুলো লাভের কথা দূরে থাক, লোকসানের বোঝায় ভারী হয়ে বিলুপ্তির পথে। এই নির্মম বাস্তবতা সত্ত্বেও আমরা একুশের বইমেলা করে যাচ্ছি বাঙালির মনের জগতকে সৃজনশীল করার জন্য। আজ নতুন প্রজন্ম বইবিমুখ। তারা তথ্য প্রযুক্তির সহজলভ্য বিনোদনের স্রোতে গা ভাসিয়েছে। তাদের কল্পনার জগত ছোট হয়ে গেছে।

এরা পটন-পাঠন থেকে ছিটকে পড়েছে। রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-জীবনানন্দ-জসীম উদ্দীন কী তা জানে না। এরা পাশ্চাত্যের প্রভাবে শিকড়চ্যুত। আজকের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের একাডেমিক পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার ঘোড় দৌঁড়ে ব্যস্ত। তাদের কাছে সন্তানদের একটি ভাল বই পড়া মানেই সময় নষ্ট।

আমাদের কাছে আরো তিক্ত অভিজ্ঞতা হলো, ভাষার মাস ফেব্রুয়ারিতে চট্টগ্রামে একুশের বইমেলায় ঢাকা থেকে কোন প্রকাশনা সংস্থা সরাসরি অংশগ্রহণ করেন না। তবে ঢাকা ও কলকাতা থেকে তাদের সাম্প্রতিক প্রকাশনাগুলো পাঠনে। এতে কিন্তু বইমেলা পূর্ণাঙ্গতা পায় না। তারপরও লেখক, পাঠক, সংস্কৃতিকর্মীদের সমাবেশে এই আয়োজন বর্ণাঢ্য হয়ে ওঠে।

তাই বই মেলা শুধু বইয়ের নয় সংস্কৃতি লালন-পালনের চারণভূমি হয়ে ওঠে। নৃত্য-গীত-আবৃত্তি-নাটক ও বিষয়ভিত্তিক সেমিনারে ডিসিহিল প্রাঙ্গণ সকাল-বিকেল-সন্ধ্যে-রাত মুখরিত থাকে। এই আয়োজনে কোন বাণিজ্যিক অভিপ্রায় নেই, আছে ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি প্রবহমান আবেগের ফগ্নুধারা।

এসময় পরিষদের চেয়ারম্যান, বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ সম্পাদক সৈয়দ উমর ফারুক,ভারপ্রাপ্ত মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, মুক্তিযোদ্ধা নঈমুদ্দিন চৌধুরী, শ্রমিকনেতা সফর আলী, নারীনেত্রী ববিতা বড়ুয়া, ছাত্রনেতা ইয়াসিন আরাফাত, খোরশেদ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।