বোয়ালখালীর ইউএনও ওসিসহ ছয় পুলিশের বিরুদ্ধে লুটের অভিযোগ
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ ওসিসহ ছয় পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও মালামাল লুটপাটের অভিযোগ এনেছেন বোয়ালখালী পৌরসভার জামাল উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী। তিনি উপজেলার মুন্সীপাড়ার বাসিন্দা।
তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বোয়ালখালী থানার ওসিসহ ছয় পুলিশ সদস্যের ক্ষমতার অপব্যবহারের মধ্যমে দোকান উচ্ছেদ করে মালামাল লুটের অভিযোগ এনে বিভাগীয় কমিশনার চট্টগ্রাম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চট্টগ্রাম কার্যালয়সহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন।
গতকাল সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দেয়া লিখিত অভিযোগে ইউএনও কাজী মাহবুবুল আলম, বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাউদ্দিন চৌধুরী, এসআই মোস্তাক আহমদ, মো. খলিল, মো. দেলোয়ার হোসেন, পিযুষ কান্তি সিংহ, বেলাল হোসেন ও কনস্টেবল মো. নোমানকে অভিযোগে অভিযুক্ত করেন।
ব্যবসায়ি জামাল উদ্দিন জানান, গত ৮ ফেব্রুয়ারী সকালে পুলিশ নিয়ে গিয়ে ইউএনও মাহবুবুল আলম বেআইনিভাবে উচ্ছেদ করেন। এসময় দোকানের ক্যাশে থাকা নগদ লক্ষাধিক টাকাসহ প্রায় ১০লাখ টাকা মালামাল নিয়ে যায়। সেই সাথে আমার বৃদ্ধ বাবা, ভাই, দোকানের কর্মচারীসহ আমাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে থানায় নিয়ে আটক করে রাখে।
এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়ার হুমকি দিয়ে সাদা কাগজ, কার্টিজ ও অলিখিত স্ট্যাম্পে পাঁচজনের কাছ থেকে সই নিয়ে ও নগদ এক লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে ওইদিন রাত ১০টার দিকে ছেড়ে দেয় বলে জানান জামাল।
এ ঘটনা নিয়ে সেদিন পাঠক ডট নিউজে “বোয়ালখালীতে দোকান উচ্ছেদ নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড” শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, বর্তমান ভাড়াটিয়া জামাল দীর্ঘদিন এক বছর ধরে দোকানের ভাড়া না দেওয়ায় আবুল কাশেমের অভিযোগের ভিত্তিতে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। তবে টাকা নেওয়ার কথা তিনি অস্বীকার করেন।
বোয়ালখালী থানার ওসি মো. সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইউএনও সাহেব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার জন্য সহযোগিতা চাইলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বিষয়টি অন্য কোনোভাবে দেখার সুযোগ নেই।
এব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া বিষয়টি স্বীকার করে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন জানান, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তোমাদের এলাকায়? Shuva Das
hmm vai…