জামায়াত নেত্রী রিজিয়া এখন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক
জামায়াতের ইসলামীর বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মমিনুল হক চৌধুরীর মেয়ে রিজিয়া রেজা চৌধুরী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
রিজিয়া রেজা চৌধুরী এক সময় জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি সাতকানিয়া উপজেলা মহিলা জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। এখন তিনি সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা নদভীর স্ত্রী।
নদভী গত সংসদ নির্বাচনের আগে ডিগবাজি দিয়ে জামায়াত ইসলামী থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। অথচ এ নদভী জামায়াতে শীর্ষ নেতা যুদ্ধাপরাধের দায়ে অভিযুক্ত গোলাম আযমের ঘনিষ্ট্য সহচর ছিলেন।
জানাগেছে, প্রায় ২২ বছর পর সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারী) অনুষ্ঠিত হয়েছে দক্ষিণ জেলা মহিলা লীগের সম্মেলন। সম্মেলনে সভাপতি হয়েছেন চেমন আরা তৈয়ব এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন শামীমা হারুন লুবনা এবং সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন রিজিয়া রেজা চৌধুরী।
কমিটি গঠনের সময় চরম হট্টগোল বাঁধে। এ সময় সভাপতি পদ না পেয়ে সম্মেলনস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন মহিলা লীগ নেত্রী শাহিদা আক্তার জাহান।
সোমবার নগরীর চকবাজারে আনিকা কমিউনিটি সেন্টারে মহিলা লীগের সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি বেগম সাফিয়া খাতুন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক সম্পাদক বেগম ফজিলাতুন্নেছা ইন্দিরা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রিজিয়া রেজা চৌধুরী পাঠক ডট নিউজকে বলেন, আমি অনেক দিন যাবত নারীদের নিয়ে কাজ করছি। দল আমাকে মূল্যায়ন করেছে সে জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি বিশ্বাস করতে পারছি না আমাকে এমন পদ দেয়া হয়েছে।
আপনার বাবার রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মতাদর্শের অনেক পার্থক্য রয়েছে- এক্ষেত্রে আপনার এই পদ পারিবারিক কোনো সমস্যা সৃষ্টি হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার আব্বা অনেক দিন যাবত সমাজের মানুষের জন্য কাজ করছে। নামাজ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। আমরাও সমাজের পরিবর্তনের জন্য কাজ করছি। তারা একভাবে কাজ করছেন, আমরা অন্যভাবে কাজ করছি। এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না। সবাই তো ভালো কাজই করছে।
তিনি বলেন, আমি নারীদের কল্যাণে কাজ করার জন্য সাতকানিয়া-লোহাগাড়া উপজেলায় সামাজিক ব্যাধি প্রতিরোধ ও নারী উন্নয়নে কয়েকটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছি, যার মাধ্যমে নারীদের উন্নয়নে কাজ করছি।
এত দিন পর একটা মামলার আসামী হবেন। রিজিয়া রেজা ও নদভীর বিরুদ্ধে কিছু বলা বা লিখা গুনাহে কবিরা। @ শিল্পী ভাই।
আপনি হয়তো জানেন না, একটা মামলা নয়, আমার সাংবাদিকতার জীবনে অসংখ্য মামলা মোকাবেলা করেছি আমি।
এটা টিক আছে,কারন ও আমিও নদভীর একটা মামলার আসামী আইসিটি আইনে।কারণ নদভীর বিরুদ্ধে কেউ লিখলেই মামলা করে রিজিয়া।
মামলা নং কত ভাই…???
gd news
hahaha
আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। তবে এটি পরিস্কার যে, ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সেটা আওয়ামীলীগকে জামাতীকরণ নাকি জামাতকে আওয়ামীকরণ করা হচ্ছে সে রহস্য থেকেই গেল!!
সংসারে সুখ বহাল রাখতে এমনটি করা যেতে পারে। আর আপনারা সাংবাদিকরা বিষয়টি তুলে এনে জাতিকে সতর্ক করলেন।
আওয়ামীলীগকে তালিম দেওয়ার জন্য পাঠানো হইয়াছে।
রাজাকার এখন রাজার আকার
তাতে সমাস্যা কি?
ভালো!! এভাবেই চলুক!! সাংগঠনিক দক্ষতাকেই গুরুত্ব দিলো আওয়ামীলীগ।
আওয়ামীলীগের মধ্য ইসলামের আলো জ্বালানোর জন্য যাইতে পারে
কত বড় বড় ঘটনা ঘটেছে ঐ দিকে নজর না দিয়ে এই ছোট ছোট ঘটনা কে বড় ইস্যু বানানো সাংবাদিকদের কাজ, সাড়ে আট হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতুর বাজেট এক লাফে পঁয়ত্রিশ হাজার কোটি টাকা হয়ে গেল সেটা নিয়ে কোন কথা বলে না, যত সব…………….?
নেতারা টাকা পাইলে সব কিছু করতে পারে এটাই বাস্তবতা ।
স্বার্থপরায়ণ রাজনীতি!!!
Saiful Islam Shilpi ভাই, সাহসিকতার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
কয় বছর কর্মী ছিলেন। তওবা পড়েছেন কি?
জামায়াত নেতা নদভী যদি আওয়ামী লীগের এমপি হতে পারে, তো নদভীর স্ত্রী কেন আওয়ামী লীগের নেত্রী হতে পারবেনা! এখানে সমালোচনা করার কি আছে?