অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরী বানানো হচ্ছে কার স্বার্থে?

1
.

সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবির মূর্তি স্থাপনের প্রতিবাদে এবং অবিলম্বে তা অপসারণের দাবিতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে আজ শুক্রবার বাদজুমা (২৪ ফেব্রুয়ারী)  মহানগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেট চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সামনে গ্রিক দেবির মূর্তি স্থাপন বাংলাদেশের গণমানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস, সংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও আদর্শিক চেতনার বিপরীত। কোন মুসলমান মূর্তিকে ন্যায় বিচারের প্রতীক বিশ্বাস করলে তার ঈমান থাকবে না। বাংলাদেশে মূর্তি স্থাপনের চাহিদা ও সুযোগ কোনটাই নেই। অবিলম্বে এই মূর্তি অপসারণ করতে হবে। অন্যথায় ঈমান, আক্বীদা ও ঐতিহ্য রক্ষার লক্ষ্যে মূর্তি অপসারণের দাবীতে প্রয়োজনে লাখ লাখ মানুষ নিয়ে ঢাকা ঘেরাও করা হবে।

বক্তারা বলেন, মসজিদের নগরী ঢাকাকে মূর্তির নগরী বানানো হচ্ছে কার স্বার্থে? দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভাস্কার্যের নামে মূর্তি তৈরী করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যারা মূর্তির পক্ষে কথা বলছেন তারা জনবিচ্ছিন্ন। এরা নাস্তিকদের দালাল। মূর্তি ও অপসংস্কৃতি চর্চা থেকে সরকারকে বের হয়ে আসতে হবে। ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশের মূর্তি সংস্কৃতি কেন? মূর্তি ও অপসংস্কৃৃতি দুটিই ইসলামবিরোধী। মূর্তি ও অপসংস্কৃতিকে বৈধ মনে করলে মুসলমানিত্ব থাকবে না। ইসলাম এসেছে মূর্তিরপুজার বিরুদ্ধে। রাসূল সা. বলেছেন, আমি প্রেরিত হয়েছি মূর্তির ভাঙ্গার জন্য।

.

বক্তারা আরো বলেন, মহানবী সা. বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ আইন প্রণেতা হিসেবে স্বীকৃত। আমেরিকা সুপ্রিমকোর্টের সামনের ফটকে রাসূল সা. সর্বশ্রেষ্ঠ আইনপ্রণেতা হিসেবে ফলকে নাম আছে। ভারতের সুপ্রিমকোর্টেও আইন প্রণেতারূপে কোন মূর্তির অবস্থান নেই। কোন মুসলিম দেশেও এরূপ কোন নজির নেই। তাহলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশের সুপ্রিমকোর্টের সামনে কেন মূর্তি থাকবে। সুতরাং সুপ্রিমকোর্টের সামনে থেকে মূর্তি অপসারণ করতেই হবে। অন্যথায় জান-মাল দিয়ে হলেও ঈমান রক্ষায় ইসলামী জনতা গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে, যা সরকারের জন্য শুভ হবে না।

বিক্ষোভ সমাবেশে আগামী ১০ মার্চ সারাদেশের জেলা সদর ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসুচী ঘোষনা করা হয় ।

কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা লোকমান হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ আরো বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ন মহাসচিব মাওলানা মঈনুদ্দীন রুহী,কেন্দ্রীয় সংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী,মাওলানা হাজী মুজাম্মেল হক,মাওলানা মোহাম্মদ আলী,মাওলানা মীর ইদ্রিস, মাওলানা ক্বারী মুবিনুল হক, মাওলানা হাবিবুল্লাহ নদভী, মাওলানা হাফেজ জাকারিয়া, মাওলানা ক¦ারী ফজলুল করিম জেহাদী,মাওলানা শেখ আবু তাহের,মাওলানা মনসুর, মাওলানা জুনাইদ জওহর,মাওলানা আ.ন.ম আহমদুল্লাহ, মাওলানা ইউনুস, মাওলানা ইকবাল খলিল,মাওলানা শিব্বির আহমদ,মাওলানা তকি ওসমানী, মাওলানা ওসমান কাসেমী,মাওলানা নাজমুস সাকিব, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা ফয়জুর রহমান ফয়েজ,মাওলানা মাহামুদুল হাসান খাকি,মাওলানা ইমরান খলিল ইসলামাবাদী,মাওলানা বরকত উল্লাহ বাবু নগরী প্রমূখ।

বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন মাওলানা আ.ন.ম আহমদুল্লাহ ও মাওলানা ইউনুস। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

১ টি মন্তব্য
  1. Abdul Hannan Wod Laber বলেছেন

    মোদির স্যাথে