অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ঢাকা বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনে বিএনপি পন্থিদের নিরঙ্কুশ বিজয়

0
.

ঢাকা বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনে বিএনপিপন্থি আইনজীবিদের নিরঙ্কুশ বিজয় হয়েছে। ভরাডুবি হয়েছে সরকার সমর্থিত আওয়ামী পন্থিদের।

২০১৭-২০১৮ সালের নির্বাচনে ২৭টি পদে সভাপতি, সিনিয়র সহ সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সহ সম্পাদক, সহ সম্পাদক সহ ২০ টি পদে নীল (জাতীয়তাবাদী) প্যানেল জয়লাভ করেছে। আর সাদা (আওয়ামী) প্যানেল  মাত্র ৬ টি পদে জিতেছে।

এর আগে গতকাল শুক্রবার নির্বচন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শান্তিপুর্নভাবে ভোট গ্রহণ চলে। এবার সমিতির মোট ভোটার সংখ্যা ষোল হাজার ১৯৭ জন। ভোট দিয়েছেন মোট আট হাজার ৯১০ জন। প্রথম দিনে ভোট পড়েছে তিন হাজার ৫১৮টি। শেষের দিন পাঁচ হাজার ৩৯২ ভোট গ্রহন হয়েছে। অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি।

এবার সমিতির নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে খোন্দকার আবদুল মান্নান দায়িত্ব পালন করছেন। সর্বিক কার্যক্রম পরিচালনায় ১৯ জন নির্বাচন কমিশনার এবং ১৮১ জন সদস্য তাকে সহায়তা করেছেন। বুধ ও বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহনের পর ভোটের ব্যালট সিলগালা করে রেখে দেয়া হয়। শুক্রবার কাল ৯ টা থেকে শুরু করে প্রাক বাছাইপর্ব শেষে বেলা আড়াইটা থেকে মূল গননা আরম্ভ হয়।

নীল প্যানেল থেকে জয়লাভকারীরা হলেন, প্রেসিডেন্ট পদে এমডি খোরশেদ আলম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে এম.ডি রুহুল আমীন, কাজী এমডি. আবদুল বারিক, সাধারণ সম্পাদক পদে এমডি আজিজুল ইসলাম খান বাচ্চু, সহসম্পাদক পদে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, এমডি সরোয়ার কাওসার রাহাত, আসানুর রহমান রুবেল, ক্রীড়া সম্পাদক পদে মোহাম্মদ জহুরুল ইসলাম কাইয়ুম।

.

প্রাপ্ত ভোট হলো- সভাপতি খোরশেদ আলম (বিএনপি) ভোট-৪৮৫৫ বিপরীতে আবদুর রহমান হাওলাদার ভোট -৩৬৬৪, সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম বাচ্চু (বিএনপি) ভোট -৪৮৪৯ বিপরীতে আয়ুবুর রহমান ভোট-৩৭৭৫, সিনিয়র সহ সভাপতি রুহুল আমিন ভোট -৪৩৫৩বিপরীত কাজী শাহানারা ইয়াসমিন ৪৩৫২ রহুল ১ ভোটে জয় রিকাউন্টিং দরখাস্তে স্থগিত। সহ সভাপতি আব্দুল বারেক (বিএনপি) ভোট ৪৫২২বিপরীত মনজুর আলম মন্জু ভোট -৪১৫২।

সিনিয়র সহ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নজরুল ইসলাম (বিএনপি) ভোট-৪৬৪৫ বিপরীতে মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার দিপু ৪০৪০। সহ সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার কায়সার রাহাত (বিএনপি) ভোট ৪৫৪৬ কামাল হোসেন পাটওয়ারী ভোট- ৪১৪৩।
অফিস সম্পাদক আফানুর রহমান রুবেল (বিএনপি) ভোট -৪৪৪০ বিপরীত আব্দুর রশিদ ৪২৭০।

ট্রেজারার হাসিবুর রহমান দিদার (আঃলীগ) ভোট ৪৬০৮বিপরীত লুৎফর রহমান আজাদ ভোট-৪১২৬। সাংস্কৃতিক ফারহানা অরেঞ্জ (আওয়ামী লীগ) ভোট ৪৬৮২ বিপরীত শিরীন ৩৯৯৭। লাইব্রেরি আজাদ (বিএনপি) ভোট ৪৮৯৬ বিপরীত মনিরুজ্জামান মনির ৩৮২৮। ক্রীড়া কাইয়ুম (বিএনপি) ভোট ৪৬৫৭ বিপরীত শিল্পী ৪০৫৪। সমাজ কল্যান সম্পাদক প্রহলাদ চন্দ্র পলাশ (আওয়ামী লীগ) ৪৫০৬ বিপরীত লিটন ৪২৪৮

সদস্য পদে বিজয়ীরা হলেন- আবু হেনা (বিএনপি), মুস্তারী আক্তার নুপুর (বিএনপি), পান্না চৌধুরী (বিএনপি) আল আমিন (আঃলীগ) কায়েস (আঃলীগ) মাহমুদুল হাসান অমি (আঃলীগ), কাঞ্চন (বিএনপি), তামান্না খানম আইরিন (বিএনপি) মিনারা বেগম রিনা (বিএনপি), আবুল কাসেম (বিএনপি), শহিদুল্লাহ (বিএনপি), অপু (বিএনপি), আরিফ (বিএনপি),শওকত (বিএনপি), মুরাদ (বিএনপি)।