অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

অতিরিক্ত অর্থ ফেরত দেয়ার দাবীতে সিডিএ পাবলিক স্কুলে ক্লাস বর্জন ও মানববন্ধন

1
.

​​ভর্তির সময় আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মোতাবেক ফেরত দেয়ার দাবিতে নগরীর সিডিএ পাবলিক স্কুলে ক্লাস বর্জন করে প্রতিবাদ সমাবেশে মানববন্ধনে মিলিত হয়েছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারি (সকালে) স্কুল চত্বরে এ কর্মসূচি  পালিত হয়েছে।

জানাগেছে, জেলা প্রশাসনের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির তদন্তে প্রমানিত চট্টগ্রামের সিডিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তির সময় ভর্তিনীতি মালা ২০১৬ইং বিরোধী অতিরিক্ত অর্থ ফেরৎ প্রদানের দাবিতে ক্লাস বর্জন ও প্রতিবাদী  অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভর্তিনীতি মালা ২০১৬ অনুযায়ি ৩০০০ টাকার বেশী অর্থ নেয়া যাবে না। একই স্কুলে পুনঃ ভর্তির নামে কোন অর্থ নেয়া যাবে না। জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ২৩ ফেব্রুয়ারি এর মধ্যে আদায়কৃত অতিরিক্ত অর্থ ফেরৎ প্রদান অথবা সমন্বয় না করায় প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন সিডিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিভাবক ফোরাম।

সমাবেশে আগামী ০২ মার্চ এর মধ্যে অতিরিক্ত ফিস ফেরত না দিলে বা সমন্বয় না করলে আগামিতে মাসিক টিউশন ফিস পরিশোধ বন্ধ, ক্লাসবর্জনসহ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতর আন্দোলনের হুমকি প্রদান করেন বক্তারা।

প্রতিবাদ সমাবেশে অভিভাবক ফোরমের সভাপতি আলাউদ্দীন বাবরের সঞ্চালনায় সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, ক্যাব চট্টগ্রাম নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক এ এম তৌহিদুল ইসলাম, ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম নগর কমিটির সাধারন সম্পাদক নুরুল আজম রনি, অভিভাবক ফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট মুসলেম উদ্দীন শাহজাহান, শাহাদত হোসেন তানজু, ওমর কায়ুম তৈয়ব, হুমায়ুন কবির টিপু, ফারুখ হোসেন, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, ফজিলা আকতার ডেইজী, ক্যাব চান্দগাঁও সভাপতি জানে আলম, ছাত্রলীগ নেতা ওয়াহিদ আলম ওয়াহিদ, নুরুন্নবী সাহেদ, আবু সাঈদ মুন্না, আনোয়ারুল কবির আকাশ প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন সিডিএ পাবলিক স্কুল যেহেতু গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান সেহেতু সরকারের নিয়ম মানতে তারা বাধ্য। কিন্তু সরকারের নির্দেশনা মানতে সরকারী ও স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলির পরিচালনাধীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপন, অনীহা দু:খজনক ও রাস্ট্রদ্রোহী অপরাধের সামিল। তাই অনতিবিলম্বে সরকারের নির্দেশনা মানতে তৎপর হবেন এ প্রত্যাশা করেন।

কোমলমতি শিশুদের শিক্ষা অধিকার নিয়ে ভর্তি বানিজ্য ও গলাকাটা ফিস আদায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কর্তৃপক্ষের এ ধরনের আচরণ পুরো মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষক সমাজকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে তুলছে যা পুরো শিক্ষা সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করছে। তাই শিক্ষক সমাজের মান-মর্যদা রক্ষায় শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন।

১ টি মন্তব্য
  1. Zubaer বলেছেন

    শিরোনামে একটা ‘ব’ কম কেন, বদ্দা?