অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ঠেঙ্গার চরে সাইনবোর্ড স্থাপন করে কর্তৃত্ব নিল সন্দ্বীপবাসী

2

ঠ্যাঙ্গার চর, সন্দ্বীপ থেকে বিশেষ প্রতিনিধি:

.

রোহিঙ্গাদের পুন:বাসনের জন্য আলোচিত বঙ্গোপসাগরের ঠ্যাঙ্গারচর দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের অংশ দাবি করে চরটিতে প্রধমবারের মত মানববন্ধন  ও সা্ইনবোর্ড স্থাপন করেছে সন্দ্বীপবাসীরা।

মঙ্গলবার সন্দ্বীপের উপকূলীয় এলাকায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধনের পর সহস্রাধিক দ্বীপবাসী নৌকা র‌্যালিতে করে ঠ্যাঙ্গারচরে প্রখমবারের মতো মানববন্ধন করে।

বিকাল তিনটায় ঠ্যাঙ্গার চরে এ কর্মসূচির আয়োজন করে ‘জেগে উঠা ভুমি রক্ষা পরিষদ’।

.

মানববন্ধনে সন্দ্বীপের আজিমপুর, মাইটভাঙা ও সারিকাইত ইউনিয়নের সহস্রাধিক লোক অংশ নেয়। তারা ২০ টি ইঞ্জিনচালিত নৌকাযোগে সন্দ্বীপের পশ্চিম উপকুল থেকে ঠেঙ্গারচর পৌঁছে এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন।

এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা বিভিন্ন ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। এসব ব্যানার-ফেস্টুনে ঠেঙ্গার চরকে সন্দ্বীপের সীমানায় অন্তর্ভূক্ত করার দাবি জানানো হয়।

.

মানববন্ধন শেষে সন্দ্বীপের জেগে উঠা ভুমি রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক ও মাইটভাঙা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ও পরিষদের সদস্য সচিব সারিকাইত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম ও আজিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজ উল্লাহ ঠেঙ্গারচরে সন্দ্বীপের বিলুপ্ত ন্যায়ামস্তি ইউনিয়নের সাইনবোর্ড স্থাপন করেন।

এ সময় পরিষদেও আহ্বায়ক মিজানুর রহমান বলেন, ঠেঙ্গারচর সন্দ্বীপের পশ্চিমে সাগরের ভাঙনে বিলুপ্ত হওয়া ন্যায়মস্তি ইউনিয়নের অংশ। এ চর সন্দ্বীপের অংশ। সন্দ্বীপ থেকে আধ ঘণ্টায় ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ঠেঙ্গারচরে পৌঁছানো যায়। যেখানে হাতিয়া থেকে দুই ঘণ্টা সময় লাগে। দূরত্বও ২০ কিলোমিটারের বেশি। এ চরকে কেন হাতিয়ার অংশ বলা হয় তা আমাদের বোধগম্য নয়।

.

পরিষদের সদস্য ফখরুল ইসলাম বলেন, ঠেঙ্গার চরকে হাতিয়ার অংশ বলার অর্থ সন্দ্বীপের ভূমি হারা মানুষকে বঞ্চিত করা। ন্যায়মস্তিসহ সন্দ্বীপের কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে দেশ-বিদেশে উদ্বাস্ত হয়েছে।

সন্দ্বীপের প্রবীণ বাসিন্দা মৌলভী গোলাম তোয়াহা বলেন, সন্দ্বীপের সবচেয়ে বড় ইউনিয়নটি ১৯৫৩ সাল থেকে সমুদ্রের ভাঙনের শিকার হয়। যা ১৯৯১ ঘূর্ণিঝড়ে চূড়ান্তভাবে বিলীন হয়ে যায়। এই ইউনিয়নে হাজার হাজার মানুষের বসবাস ছিল। এখন সেখানে ঠাঙ্গারচর জেগে উঠেছে।

.

এর আগে সকাল ১০টা থেকে সন্দ্বীপের পশ্চিম-দক্ষিণ উপকূলের বেড়িবাঁধের ওপর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন। এরপর সন্দ্বীপ থেকে ১৬টি নৌকাযোগে প্রায় সহস্রাধিক দ্বীপবাসী কথিত ঠ্যাঙ্গার চরে গিয়ে প্রথম বারের মতো মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে। মানববন্ধনে দ্বীপের বাসিন্দারা সন্দ্বীপের আদিভূমি নেয়মন্তি ইউনিয়নকে ঠ্যাঙ্গারচর নামকরণ পরিবর্তন ছাড়াও সন্দ্বীপের ভুক্তভোগী মানুষের জন্য বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানান।

এর আগে সকালে আজিমপুর ইউনিয়ন এলাকার সমুদ্রতীরবর্তী এলাকায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন দশ হাজারের বেশি মানুষ। মানবন্ধনটি আজিমপুর থেকে শুরু হয়ে মাইটভাঙ্গা, চৌধুরীবাজার, সারিকাইত সওদাগরহাট হয়ে বাংলাবাজারে গিয়ে শেষ হয়। মানবন্ধনে শিক্ষার্থী ছাড়াও বয়োবৃদ্ধরাও অংশ নেন। এসময় বিভিন্ন স্কুল কলেজ থেকে শিক্ষার্থীরা এসে মানববন্ধনে সংহতি প্রকাশ করেন।

এতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ছাড়াও আজিমপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বিষ্ণুপদ রায়, সাউথ সন্দ্বীপ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. সামসুদ্দিন, মাইটভাঙ্গা হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম সহ সন্দ্বীপের সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন।

২ মন্তব্য
  1. Mohammed Millad বলেছেন

    সাইফুল ঠেঙ্গার চর সন্দ্বীপ এর একটি অংশ । বর্ত মান ঠেঙ্গার চরটির পূর্বে এর নাম ছিল ন্যায়ামস্তি ।