অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

১৯৭১ সাল থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ব্যবসা শুরু হয়-সাংসদ বাদল

0
.

সংসদ  সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা মঈন উদ্দিন খান বাদল বলেছেন ১৯৭১ সাল থেকেই বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে ব্যবসা শুরু হয় ও ক্ষমতা গ্রহণের হাতিয়ার হিসাবে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহার করা হয়। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ তে ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধাদের একটি বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে তালিকা ভুক্তি করেন। এতেও দেখা যায় যে, অমুক্তিযোদ্ধারা তালিকায় ঢুকে পরেছে। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রাণালয়, জামুকা, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ডা কাউন্সিলসহ এতগুলি সংস্থা থাকা স্বর্তেও মুক্তিযোদ্ধাদের কোন কাজই এগুচ্ছে না। ব্যর্থতায় ভরা উল্লেখিত সংগঠনগুলির মনোযোগের অভাব ও দায়িত্বহীনতার কারণে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই ব্যর্থ হচ্ছে।

তিনি গতকাল শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম মহানগরীর সেন্টমার্টিন হোটেলের অন্তরা হলে চট্টগ্রাম শহর এলাকার যুদ্ধকালীন কমান্ডার, ডিপুটি কমান্ডার ও জেষ্ঠ মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ এর সাথে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।

এসময় সাংসদ বাদল আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধা যাছাই বাছাইয়ে যে ফরম দেওয়া হয়েছে তা পরিপূর্ণ নয়। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক অনলাইনে জমাকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা গ্রুপ কমান্ডার ও ডেপুটি কমান্ডারদেরকে কোন অনুলিপি দেন নাই, এজন্য সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

তিনি বলেন, মন্ত্রী পরিষদ বৈঠকে সরকারের চারজন গুরুত্বপূর্ণ মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী বলেছেন যাচাই বাছাইয়ের নামে টাকার খেলা চলছে। মতবিনিময় সভায় গ্রুপ কমান্ডারগণ সাংসদকে জাতীয় সংসদে যাচাই বাছাইয়ের বিস্তারিত তুলে ধরার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।
গ্রুপ কমান্ডারগণ আরো বলেন, এলাকাভিক্তিক মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন গ্রুপ কমান্ডারগণ তা যাচাই বাছাই গ্রহণযোগ্য, বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য গ্রুপ কমান্ডারদের নিয়ে কমিটি করে যাচাই বাছাই করলে সেটাই সঠিক হবে আমরা মনে করি।

সভায় উপস্থিত গ্রুপ কমান্ডারদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শাহ্জাহান খান, মোঃ হারিছ, জাহাঙ্গীর আলম, মাহবুবুল আলম, আবদুল্লাহ হারুন, আবদুল গফুর, জাহেদ হোসেন, নুর উদ্দিন চৌধুরী, সামসুল আলম, সামসুল হক, নুরুল হক বীর প্রতিক প্রমুখ।

খবর: প্রেস বিজ্ঞপ্তি