অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় কাস্টমস কর্মকর্তা জেলহাজতে

0
.

স্বর্ণ চোরাচালান মামলায় আত্মসমর্পনের পর আনিসুর রহমান নামে এক সহকারী কাস্টমস কমিশনারকে জেলহাজতে পাঠিয়েছে আদালত ।  আজ মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. শাহে নূর এই আদেশ দিয়েছেন।

দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাবলু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, দুদক মামলাটির অভিযোগপত্র দাখিলের পর নিয়ম অনুযায়ী আনিসুর রহমান আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেছিলেন। আনিসুর রহমান চট্টগ্রাম কাস্টমসের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছেন।

২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী পরিচালক রহমত উল্লাহ বাদি হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

দুই বছর তদন্তের পর চলতি বছরের ২ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারী পরিচালক এইচ এম আক্তারুজ্জামান আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা করেন। এতে ৭ জনকে আসামি করা হয়।

আসামিরা হলেন, কাস্টমসের এআরও আনিসুর রহমান, সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারী মোমেন মকসুদ, আনসারের এপিসি ইলিয়াস, আনসার সদস্য মাহফুজার ও শাহিন, বিমানের ট্রাফিক হেল্পার নুরুদ্দিন এবং লাগেজের মালিক আলাউদ্দিন।

২০১৩ সালের ১ নভেম্বর চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যাত্রীর লাগেজ তল্লাশি করে ২৫টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। মধ্যপ্রাচ্যের দোহা থেকে দুবাই হয়ে আসা এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটের এক যাত্রী লাগেজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে এসেছিলেন।

এসময় বিমানবন্দরে কাস্টমসের এআরও আনিসুর রহমান এবং মোমেন মকসুদ বিমানবন্দরের সিভিল এভিয়েশন বিভাগের ব্যবস্থাপকের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মোমেন মকসুদের বিরুদ্ধে ওই লাগেজের মালিককে গ্রেফতার এড়িয়ে নিরাপদে বিমানবন্দর পার করে দেবার অভিযোগ উঠেছিল। এর ভিত্তিতে অনুসন্ধানে নামে দুদক।