অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মীরসরাইয়ের পর পটিয়াতে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান

1
মীরসরাইয়ের এ বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ।

চট্টগ্রামের পটিয়া ও মিরসরাইয়ে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে অভিযান চালায় চালিয়েছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা। মীরসরাই সদরের কলেজ রোডের রেদওয়ান মঞ্জিল নামের ওই দোতলা বাড়িতে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টা থেকে ঘেরাও করা হয় বলে পুলিশ জানায়। অভিযানকালে বাড়ির নিচতলার দুটি কক্ষে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও বিস্ফোরকদ্রব্যর সন্ধান পাওয়া যায়। পরে বাড়ির ওই দুটি কক্ষ সিলগালা করে রাখা হয়।

আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ি পাহারায় নিয়োজিত মিরসরাই থানার এসআই মো. ইকবাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “রাতে পুলিশের স্পেশাল দুটি টিম কুমিল্লায় আটক হওয়া এক জঙ্গিকে নিয়ে রিদোয়ান মঞ্জিলে অভিযান চালায়। ভেতরে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র ও গোলাবারুদ রয়েছে। “

কুমিল্লার একটি চেকপোস্টে পুলিশের ওপর দুই ‘জঙ্গি’র হামলার পর মঙ্গলবার রাত থেকে এ অভিযান চালানো হয়।  আজ দুপুরে মীরসরাইয়ে এ অভিযান শেষ করে জঙ্গি দলের এক সদস্যকে নিয়ে অভিযান দল চট্টগ্রামের পটিয়া শান্তিরহাটে তার গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা জানান, ঢাকা থেকে আসা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সদস্যরা কুমিল্লা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এ অভিযান চালাচ্ছে। তবে বুধবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি পুলিশ। তবে বেশ কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার তীরচর গ্রাম এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের একটি চেকপোস্টে বাস থামিয়ে চালকের কাগজ পরীক্ষা করার সময় বাস থেকে দুই ‘জঙ্গি’ নেমে এসে আল্লাহু আকবর বলে দুটি বোমা ছোড়ে। তবে সেগুলো বিস্ফোরিত হয়নি। পরে তাদের আটক করে পুলিশ।
 
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা বলেন, কুমিল্লায় যাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তারা মিরসরাইয়ের ওই বাড়িতে আস্তানা গেড়েছিল বলে জানিয়েছে। তাদের নিয়ে সেখানে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো অভিযান চলছে। ফলে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি তিনি।