অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নগরীতে বেড়েই চলছে নিত্যপণ্যের দাম

1
.

গত সপ্তাহের পর চলতি সপ্তাহেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার সকালে থেকে চট্টগ্রামের কয়েকটি বাজার ঘুরে আমাদের রিপোর্টারদের তৈরী করা প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

গত সপ্তাহের মতো এ সপ্তাহেও বাজারে বিভিন্ন প্রকারের সবজির দাম বাড়তে দেখা গেছে। চলতি সপ্তাহে আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৬ থেকে ১৮ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি সাইজভেদে ২০ থেকে ২৫ টাকা, ওলকপি ১৫ থেকে ২০ টাকা, সিম জাতভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ১৮ থেকে ২২ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ফালিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা, কচুরমুখী ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কচুরলতি জাতভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকা, করলা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, টমেটো ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ ও চালকুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিপ্রতি দুই থেকে পাঁচ টাকা হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়া বাজারে লালশাক, কলমিশাক, পালংশাক, মুলাশাক, কুমড়াশাক ও লাউশাক পাওয়া যাচ্ছে। শাকের আঁটি সাইজভেদে পাঁচ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

.

চলতি সপ্তাহে দেশী রসুনের দাম সামান্য কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ২৮ থেকে ৩০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি দুই থেকে তিন টাকা হারে বেশি। এছাড়া ভারতীয় রসুন ১৯০ টাকা থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি রসুন ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আদা মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, খোলা হলুদ ও শুকনা মরিচ ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, জিরা ৪৫০, দারুচিনি ৩৫০, ধনে ১২০ থেকে ১৫০, তেজপাতা ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

তবে চলতি সপ্তাহে চালের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। মানভেদে মিনিকেট চাল কেজিপ্রতি ৫০ থেকে ৫২ টাকা, আটাশ ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, পারি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, নাজির ৪৮ থেকে ৫৫, মোটা চাল ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা, হাস্কি ৪০ থেকে ৪২, আতপ চাল ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পোলাও চাল বিক্রি হচ্ছে মানভেদে কেজিপ্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

.

এ সপ্তাহেও প্রায় একই দামে বিক্রি হচ্ছে ডালজাতীয় পণ্য ও ডিম। দেশি মসুরের ডাল মানভেদে ১০০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুগ ডাল মানভেদে ৯০ থেকে ১১০ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে। ফার্মের মুরগির ডিম হালি প্রতি ২৮ থেকে ৩০ ও হাঁসের ডিম ৪২ থেকে ৪৪ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া মানভেদে আটা ২৬ থেকে ৩২ টাকা ও ময়দা ৩৪ থেকে ৩৮ টাকা দরে কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬৭ থেকে ৭০ টাকা, লবণ প্যাকেট মানভেদে প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, গুড়া দুধ কোম্পানিভেদে ৪২০ থেকে ৫৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে বাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে লিটারপ্রতি ৮৬ থেকে ১০৬ টাকা। লুজ সয়াবিন তেল ৮৬ থেকে ৮৮ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১০২ থেকে ১০৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৪৯০ থেকে ৫২০ টাকায়। লুজ পামওয়েল ৭৩ থেকে ৭৫, পামওয়েল সুপার ৭৫ থেকে ৭৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

.

চলতি সপ্তাহে মাছের বাজার রয়েছে স্থিতিশীল। রুই মাছ সাইজভেদে কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, কাতলা ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, পাঙ্গাস ১০০ থেকে ১২০ টাকা, ফার্মের কৈ মাছ কেজিপ্রতি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, শিং মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, কোরাল সাইজভেদে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, বেলে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি প্রকারভেদে ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কিছুটা। ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। এছাড়া লেয়ার ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৩৫০ থেকে ৩৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, খাসির মাংস ৭২০ থেকে ৭৫০ টাকা।

১ টি মন্তব্য
  1. Alim Uddin বলেছেন

    নিত্যপণ্যের দামের উন্নয়ন হচ্ছে।