বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
শশ্মানচারী ধূতাঙ্গ সাধক উ. সুমনশ্রী থের (অরন্য ভান্তে) একক সদ্ধর্ম দেশনায় বলেছেন, ধর্মই পারে পৃথিবীতে শান্তি বজায় রাখতে। ধর্মকে একাগ্র চিত্তে ধারণ ও পালনের মধ্য দিয়ে নিজের চিত্ত শুদ্ধি করে নিবার্ণের পথে যাওয়া যায়।
১০ মার্চ শুক্রবার বিকেলে বোয়ালখালী উপজেলার জ্যৈষ্টপুরা পাহাড়ের অরণ্যে অবস্থানরত এ সাধক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আত্ম উপলব্ধির জন্য মহামানব গৌতম বুদ্ধ ছয় বছর কঠোর সাধনায় মগ্ন থেকে যে আত্মজ্ঞান লাভ করেছিলেন, তা তিনি নিজের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে পৃথিবীর কল্যাণে ছড়িয়ে দিয়েছেন। তাই পৃথিবীতে শান্তি বজায় রাখতে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা নিতান্তই প্রয়োজন।
শীল, সমাধি, প্রজ্ঞার আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে সমাজ তথা স্বধর্মকে জাগ্রত রাখার মানসে কণ্টকাকীর্ণ মনোভাব পরিহার করে সমগ্র জাতির কল্যাণে নিবেদিত হওয়াই মানব জীবনের স্বার্থকতা বলে মন্তব্য করেন এ সাধক।
দুই দিনব্যাপী এ সদ্ধর্ম দেশনায় হাজারো পূণ্যার্থী দর্শনার্থী ও ভক্তের ঢল নামে জ্যৈষ্ঠপুরার দূর্গম পাহাড়ি অরন্যে। এর আগে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন পাঁচখাইন অমরানন্দ বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ তিষ্যানন্দ মহাথের, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোকারম, বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ বোয়ালখালী শাখার সভাপতি শ্রীমৎ বিপস্সী মহাথের, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. প্রিয়দর্শী মহাথের, জ্যৈষ্ঠপুরা কেন্দ্রীয় বৈশালী বিহারের অধ্যক্ষ বুদ্ধপ্রিয় থের। এতে আরো প্রাজ্ঞ ভিক্ষু সংঘ উপস্থিতিতে উ. সুমনশ্রী ভিক্ষুকে থের অভিধায় ভূষিত করেন।
তবে সেটা হতে হবে সঠিক ধর্ম।
সঠিক ধর্ম থাকলে ধর্ম মানুষকে আগলাতো, এখন মানুষ ধর্মকে আগলায়???
এইটা বুঝার ভুল, ধর্ম সম্পর্কে একটু জ্ঞান অর্জন করেন তার পর কথা বলেন। কারন ধর্ম মানুষ কে অসৎ কাজ করতে দেয় না বলে যারা ধর্ম বুঝে তারা অসৎ কাজ করেনা। ধর্ম মানুষ কে আগলায়, আর যাদের ধর্ম সম্পর্কে কোন জ্ঞান নেই তারা বলে, তারা ধর্ম কে আগসায়।
ধর্ম আবার সঠিক বেঠিক (!) ধর্ম কি মানুষ, যে রং পাল্টাবে..? হায়রে মুসলামান। যার যার বিশ্বাস তার তার ধর্ম…।
বৌদ্ধ রা তো ধর্ম কে মানে না, কার বৌদ্ধ ধর্মে আছে জীব হত্যা হারাম, কিন্তু তারা লক্ষ লক্ষ মানুষ হত্যা করছে। আর ধর্ম সঠিক বলতে এইটা যে পরম করুনাময় আল্লাহ পবিত্র কোরআন ও আল্লাহর রাসুলের মাধ্যমে সমস্ত মানব জাতি কে আল্লাহর অনুগত্যে করতে বলেছেন, যিনি সমস্ত ভূখন্ডের মালিক।
আপনার মন্তব্যের সাথে আমি একমত Alim ভাই। আমি মি.@Sohel এর কথার উত্তর দিয়েছি।
উত্তর দেওয়া আর ঠিক উত্তর দেওয়া এক কথা না। উত্তর না দিয়ে উত্তর খুজলে সঠিক দর্শন হয়?? শিল্পী??
Alim Uddin bhai Bouddist ra Dhormo mane na manee?
ভাইজান, কি মানেনা তা ও তো লিখেছি। আমি বলতে চেয়েছি যে, আমরা সবাই যদি ধর্ম কে মানি তাহলে পৃথিবীটা হবে শান্তিনগর।
Seta e bolen… Shob dhormee bipod gami manush ache, tai bole dhormo ke blame dewa kono vabe thik noy, kono dhormee kharap kaj korte bole ni..
বৌদ্ধ ধর্মে সৃষ্টিকর্তাকে স্বীকার করেনা। আপনার মতামত কি এই ব্যপারে Saiful Islam Shilpi!?
সৃষ্টিকর্তা’কে স্বীকার করেনা এমন কথা কোথাও নেই। বলতে পারেন সৃষ্টিকর্তা সম্পর্কে কোনো ব্যখ্যা নেই।
মি. সোহেল আপনার পূর্বের মন্তব্যগুলো দেখে আমার মনে হয়েছে আপনিও ধর্মকর্মের ধার ধারেন না। এটা আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার..। এখানে আমার বা অন্য কারোর কিছু যায় আসে না। তেমনি বৌদ্ধরা সৃষ্টিকর্তাকে মানলো কি মানলো না সেটাও তাদের একান্ত নিজেদের ব্যাপার। এখানে আমার কি বলার আছে..?
উদাহরন হিসেবে মায়ানমারের কথাটাও বলা উচিত ছিল 😛
এখন মায়ানমারকে টেনে আপনি যেই উদাহরণ দিতে চেয়েছেন, আমি যদি আপনার ধর্মের দেশকে টেনে সেই উদাহরন টুকু দিতে চাই তাহলে বলবেন, আপনার ধর্মে নরহত্যা নেই, তারা আপনার ধর্মের কেউ নন; আচ্ছা আপনি কি কোথাও দেখাতে পারবেন? যে বৌদ্ধ ধর্মে নরহত্যা’র বিধান আছে? মানুষ খারাপ হতে পারে, ধর্ম কাউকে খারাপ হতে শিক্ষা দেয়না।