অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করে সরকার গণতন্ত্রের কবর রচনা করছে

1
.

আমার দেশ পত্রিকাসহ বন্ধ মিডিয়া খুলে দেওয়া ও সাংবাদিক সাগর-রুনির বিচারের দাবিতে চট্টগ্রামে মানববন্ধন পালন করেছে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ চট্টগ্রাম।

শুক্রবার দুপুরে জামালখানস্থ চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, সাংবাদিকদের জেল জুলুম, নির্যাতন ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণের মাধ্যমে এই সরকার গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে। এই সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসে ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করেছে।

আমার দেশ,  চ্যানেল ওয়ান, ইসলামিক টিভি, দিগন্ত টেলিভিশনসহ বন্ধ মিডিয়া অবিলম্বে খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তরা আরো বলেন, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, সাংবাদিক শফিক রেহমান, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান মান্না, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান কে ১৩১৬ দিন কারাগারে রেখে এই সরকার সাংবাদিক নির্যাতনের রেকর্ড সৃষ্টি করেছে এ সরকার।

মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংবাদপত্রে স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। এর সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছে সাংবাদিকদের জীবন হুমকি করে তুলেছে। একের পর এক সাংবাদিক খুন হলেও কোন বিচার হচ্ছে না। তারা সাগর রুনির হত্যাকারীদের এখনো বিচার করতে পারে নাই। ডা. শাহাদাত সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ীর জন্য যে সকল ষড়যন্ত্র করছেন সে সকল ষড়যন্ত্রের জবাব এদেশের জনগণ সময় আসলে দিবে। তখন পালাবার পথ খুঁজে পাবেন না। শুধু বাংলাদেশের ইতিহাস ভিন্ন নয়, বিশ্বের ইতিহাসও ভিন্ন, হিটলারও টিকে থাকতে পারে নাই।

শাহাদাত আরও বলেন, প্রধান বিচারপতি এস.কে. সিনহা “সরকার বিচার বিভাগকে জিম্মি করে রেখেছে” বলে যে বক্তব্য পত্র পত্রিকায় এসেছে তাদের বুঝা যায় দেশের বিচার ব্যবস্থার বেহাল দশা। প্রধান বিচারপতির বক্তব্যে বুঝা যায় বিচার বিভাগকে এই সরকার ধ্বংস করে দিয়েছে। এক দেশে দ্বৈত আইন চলছে। সরকার দলীয় লোকদের জন্য এক আইন আর বিরোধী দলীয় লোকদের জন্য ভিন্ন আইন। এই হচ্ছে আমাদের দেশে আওয়ামীলীগ সরকারের বিচার ব্যবস্থা। ডা. শাহাদাত আরও বলেন, আগামীতে দেশের গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে নির্বাচনকালীন একটি সহায়ক সরকারের বিকল্প নেই। অবিলম্বে আমার দেশ পত্রিকাসহ সকল বন্ধ মিডিয়া খুলে দেওয়ার জোর দাবি জানান। অন্যথায় পেশাজীবীরা রাজপথে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দিবে।

সম্মিলিত পেশাজীবী নেতা ডা. খুরশিদ জামিল এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান।

বক্তব্য রাখেন পেশাজীবী নেতা সাংবাদিক জাহেদুল করিম কচি, এ্যাব’র প্রেসিডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার আবু সুফিয়ান, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার জানে আলম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনওয়াজ, বিএনপি নেতা এড. ইফতেখার হোসেন মহসিন, কাজী বেলাল, ইকবাল চৌধুরী, কাউন্সিলর মনোয়ারা বেগম মনি, সাংবাদিক নেতা সালেহ নোমান, ছাত্রদল নেতা কামরুল ইসলাম, গাজী মোঃ সিরাজ উল্লাহ, মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, আলাউদ্দিন আলী নুর, আতাউল্লাহ বাবু, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, সামশুল আলম, পেশাজীবী নেতা ডা. ঈসা চৌধুরী, ডা. সরওয়ার আলম, বিএনপি নেতা আলহাজ্ব জাকির হোসেন, তৌহিদুস সালাম নিশাদ, খায়রুজ্জামান জুনু, আবুল কালাম আবু, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, পেশাজীবী নেতা ডা. মোনায়েম ফরহাদ, ডা. শফিকুর রশিদ, ডা. আসাদ বিল্লা, ডা. দাউদ সিদ্দিক প্রমুখ।

১ টি মন্তব্য
  1. Alim Uddin বলেছেন

    হা হা হা। ইকবাল সোবহান সাহেবের মত লোক যে আছে।