সীতাকুণ্ডে প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষককে মেরে রক্তাক্ত
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
স্কুলে ঢুকে সীতাকুণ্ডে এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে মেরে রক্তাক্ত করেছে ইকবাল নামে স্থানীয় এক যুবক। আহত শিক্ষক কাজী নাছিম উদ্দিন চৌধুরীকে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ (১৯ মার্চ) রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের এ ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনার বিররণে জানা যায়, সকাল সাড়ে নয়টার সময় বার আউলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চলাকালীন সময়ে ইকবাল নামের স্হানীয় যুবক ক্লাসে ঢুকে বেঞ্চ এলোমেলোভাবে পড়ে থাকতে দেখে ক্লাসে পাঠদানরত সহকারী শিক্ষিকা মিফতাউল জান্নাতের সাথে তর্কে জড়িয়ে পড়ে।
হট্টগোল শুনে প্রধান শিক্ষক এগিয়ে গেলে ইকবাল তাকে সার্টের কলার চেপে ধরে কিল, ঘুষি মারতে থাকে, এক পর্যায়ে পায়ের সেন্ডেল দিয়ে মারতে মারতে দেওয়ালের সাথে ধাক্কা মারে। এতে উক্ত শিক্ষকের মাথা ও নাক ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরন হয়ে গুরুত্বর আহত হন। এসময় অন্যন্য শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে সীতাকুণ্ড স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ঘটনার সময় উক্ত যুবক শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র চৌধুরীকেও লাঞ্ছিত করে।
সহকারী শিক্ষিকা মিফতাউল জান্নাত বলেন, ইকবাল নামের ঐ যুবক ক্লাসে ঢুকে শিক্ষকদেরকে অকাথ্য ভাষায় গালাগাল করে, এর প্রতিবাদ করলে সে শিক্ষকের উপর হামলা করে। এ ছাড়া সে শিক্ষকদের দেখে নেওয়ারও হুমকি দিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ইকবাল মুটোফোনে বলেন, শিক্ষক-শিক্ষিকারা সঠিক সময়ে স্কুলে আসেন না, ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ঠিকমতো পাঠদান করান না, এ বিষয়ে জানতে চাওয়ায় শিক্ষকরা আমাকে মারধর করেছে।
শিক্ষকের উপর হামলা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুরুচ্ছপা বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি, এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার পর আইনগত ব্যবস্হা নেওয়া হবে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন বলেন, ঘটনার কথা শুনেছি, শিক্ষকের উপর হামলা করাটা ঠিক হয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো।
বেয়াদবির ধরন দেখে আমি নিশ্চিত ইকবাল আওয়ামীলীগ করে ,
কথা কিন্তু সত্য
এই হচ্ছে আমাদের সন্মানের নমুনা।
যারা এ কাজ করে, শিক্ষাকের শরীরে হাত তুলে এরা জঙ্গীর চেয়ে মারাত্বক। শাস্তি চাই