অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

অবশেষে মামলা দায়ের, আটক ৪ জন মুক্ত

0
d5a71b820232f48d69ea268610bb9438-5753f3d82b2c1
বাবুল আক্তার ও তার নিহত স্ত্রী মিতু।

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর হত্যার ঘটনায় অবশেষে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিএমপি পাঁচলাইশ থানা পুলিশ সোমবার রাতে মামলাটি এন্ট্রি করলেও সময় দেখানো হয়েছে দুপুর সাড়ে ১২টা।

নিহতের স্বামী পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার এ মামলার বাদি হয়েছেন।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদে আটক ৪ জনকে রাতে ডিবি অফিস থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার।

হত্যাকাণ্ডে প্রায় ৩৭ ঘন্টা পর মামলা দায়ের হলেও এতে খুনিদের চিহ্নিত করা হয়নি। মামলার বিরণীতে অজ্ঞাত নামা ৩ জন দুস্কৃতবারীর কথা উল্লেখ্য রয়েছে।

রাতে পাঁচলাইশ থানার ওসি, ডিউটি কর্মকর্তা এবং মামলা রেকর্ডকারী মুন্সির সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানাগেছে।

এর আগে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের মামলা দায়েরের বিষয়টি নিয়ে দিনভর বিভ্রান্তি পড়েন সংবাদ কর্মীরা। অনেক সংবাদ মাধ্যম রোববার রাতে আবার কেউ কেউ সোমবার দিনে মামলা হয়েছে মর্মে খবর ছাপে। মামলার ব্যাপারে পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়।

BABUL-03
ঘটনাস্থল ওআর নিজাম রোড, পড়ে আছে মিতুর রক্তাক্ত মরদেহ। ইনসেটে মিতু।

রাতে পাঁচলাইশ থানার ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ জানান, বাবুল স্যারের স্ত্রী খুনের ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

কিন্তু সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ডিউটি অফিসার বলেছে মামলা তখনো এন্ট্রি হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, আসলে আইনগত কিছু জটিলতার কারণে আমরা মামলা দায়েরের সময়টা দুপুর সাড়ে ১২টায় উল্লেখ করেছি। প্রকৃতপক্ষে মামলা এট্রি হয়েছে রাতে।

এদিকে থানার ডিউটি অফিসার এএসআই কামরুজ্জামান মামলা দায়েরের কথা জানালেও মামলা নম্বার কত জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে পারবো না। আপনি মামলা নথিভুক্তকারী মুন্সির সাথে কথা বলুন। পরে মুন্সি বাবুল মন্ডল বলেন, দুপুরে মামলা দায়ের হয়েছে। মামলা নং ০১, তাং ০৬, ০৭,২০১৬ ইং।

বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৪ জনকে আটক করেছে। এর মধ্যে ঘটনার পর রোববার নগরীর দামপাড়া কুসুমবাগ আবাসিক এলাকা থেকে ২ জন, রাতে মীরসরাই এলাকা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়। তবে তাদের নাম পরিচয় জানায়নি পুলিশ।

দুপুরে সাংবাদিকদের আলাপকালে পুলিশ কমিশনার বলেছিলেন, “চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছি। যদি কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হবে। তবে তাদের গ্রেফতার করা হয়নি, আটকও করা হয়নি।

রাতে তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ তাদের কাছ খেকে কোন তথ্য না শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত: রোববার সকাল পৌনে ৭টার দিকে নগরীর জিইসি এলাকায় (ওআর নিজাম রোডে) প্রকাশ্যে গুলি করে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যা করে দৃর্বৃত্তরা। ছেলে নিয়ে ক্যান্টনমেন্ট স্কুল বাসে তুলে দিতে জিইসি’র মোড়ে যাওয়ার পথে বাসা থেকে একশ গজের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।