অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

কুমিরের সাথে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রাণদিয়ে খেসারত দিল যুবক

2
নিহত দর্শনার্থী আসাদুজ্জামান রণি।

যেখানে সেখানে সেলফি তোলার প্রবণতা বিপজ্জনক ও মৃত্যুর কারণ হতে পারে সেটা আবারও প্রমাণ হলো। বরগুনার তালতলীর ট্যাড়াগিরি ইকোপার্কে কুমিরের সঙ্গে সেলফি তুলতে যান এক দর্শনার্থী। আকস্মিক একটি কুমির তাকে গভীর পানিতে টেনে নিয়ে মেরে ফেলে।

নিহত দর্শনার্থীর নাম আসাদুজ্জামান রণি। তিনি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাব রক্ষক মো. গোলাম মোস্তফার একমাত্র ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুর দুইটার দিকে তালতলীর ট্যাংড়াগিরি ইকোপার্কের কুমির প্রজনন কেন্দ্রে কুমির দেখতে যান রণি। তিনি বিপৎসীমার প্রাচীর টপকে একটি কুমিরের কাছাকাছি গিয়ে সেলফি তুলার চেষ্টা করেন। এসময় আকস্মিকভাবে একটি কুমির তাকে কামড়ে ধরে। কুমিরটি তাকে টেনে পুকুরের গভীরে নিয়ে যায়। কুমিরটি কামড়ে ধরে পুকুরে ঘুরতে থাকে। তাকে যখন ছেড়ে দেয় ততক্ষণে তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয় লোকজন ও বনবিভাগের কর্মকর্তারা রণির মৃতদেহ উদ্ধার করে।

তালতলীর ফকীরহাট বনভূমির বিট কর্মকর্তা সজিব কুমার মজুমদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, খবর পেয়ে স্থানীয় বনকর্মীরা সাথে সাথে সেখানে ছুটে যান। ততক্ষণে কুমিরটি দর্শনার্থী রণির মৃতদেহ ছেড়ে দিলে তা পুকুরে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয় অধিবাসীসহ তালতলী থানা পুলিশের সহযোগিতায় দীর্ঘ দুই ঘণ্টার প্রচেষ্টার পর নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে বিপৎসীমার প্রাচীর না টপকানোর জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বনবিভাগের কর্মকর্তারা।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কমলেশ হালদার বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

২ মন্তব্য
  1. S.A. Green Colour বলেছেন

    সেলফি নামের কুলফিটা আজ
    সবার হাতে হাতে।
    এটা রোগ থেকে আজ মহামারি
    ধারন করছে তাতে।
    সবাই জানে সবাই বোঝে
    এটা মারাত্বক বধঅভ্যাস।
    তবু সে নিজের অস্তিত্ব
    করতে চায় প্রকাশ।
    লোক নাই জন নাই
    নাই বিশেষ স্থান।
    একটা সেলফিই যেন তার
    বারিয়ে দেয় সম্মান।
    এমন দারনা, এমন চেতনায়
    এখন সভ্য জনদেরও দেখা যায়।
    মৃত্যু পথ যাত্রীর সাথেও
    সেলফি না নিয়ে নেই উপায়।
    ছোট হোক কিবা বড় হোক
    হোক না কেন গুনি জন।
    সেলফি রোগে আক্রান্ত
    দেশের মুষ্টিমেয় জনগন।
    খাওয়ার সেলফি, চলার সেলফি
    সোজা মুখের বাঁকা সেলফি,
    এক কথায় প্রতি পদক্ষেপে
    সেলফি আর সেলফি।
    সেলফি নামের কুলফিটা আজ
    সবার হাতে হাতে।
    ভয়ংকর ভাবে তুলতে গিয়ে
    মৃত্যুও হয় তাতে।
    তবু তার পিছিয়ে নেই
    বাদ দেয়না কিন্তুু।
    এমন এমন সেলফি তুলে
    সাথে নিয়ে জীব জন্তুু।
    ভাবতে গেলে অবাক লাগ
    কোনটা কে, হাসি আসে খিল খিল।
    এরি মাঝে আবিষ্কার হয়েছে
    অ্যান্টি সেলফি পিল।
    গবেষক দের ধারনা
    অতিরিক্ত সেলফি একাকিত্তের প্রমান।
    এর জন্য দায়ী
    পরিবারই প্রধান।
    পরিবারে হিন মানুষি কতায়
    বন্দুু বান্দবের অবাধ চলা ফেরা।
    সেলফির মত হাজারো রোগ
    জন্ম দেয় এরা।
    এ রোগের নির্বাক দর্শক
    আমি এক জন।
    লাইক দিয়ে রক্ষা করি
    সেলফি রোগীর মন।
    সেলফি যে শুধু ক্ষতিকর
    তা কিন্তুু নয়।
    দুই একটা বিশেষ সেলফি
    সময়, যোগ্যতা ও গুনের পরিচয়।
    তাই এ রোগের চাই,
    সুষ্ট ও সুন্দর সমাধান।
    সেলফি হোক শুধুই স্মৃতি
    রোগ হোক অবসান।
    (১)

  2. Bahar Uddin বলেছেন

    প্রাণ নিয়ে খেলা করেছে-তাই প্রাণহরণ হয়েছে।