চলন্তবস্থায় বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীদের মধ্যে হাতাহাতি মারামারি!
জেদ্দা থেকে হজ্বযাত্রী বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে চলন্তবস্থায় যাত্রীদের মধ্যে হাতাহাতি মারামারি এবং অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সাধারণ যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
রবিবার জেদ্দা থেকে রওনা হয়ে বিমানটি কলকাতার আকাশ সীমা অতিক্রমকালে বিমান ঢাকা নাকি চট্টগ্রাম ল্যাণ্ড করবে তা নিয়ে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের যাত্রীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে বিমানের ক্যাপ্টেন ও কর্মচোরীদের নাজেহাল হতে হয়।
বিমানটিতে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীরা এ তথ্যচিত্র পাঠক ডট নিউজের কাছে তুলে ধরেন।
বিমান যাত্রীদের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সিভিল এভিয়েশন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এ ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ এবং ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।
জানাগেছে, বাংলাদেশ বিমানের বিজি-০৩৮/৭৭৭ এর ফ্লাইটটি রবিবার সকাল ১১টায় প্রায় আড়াইশ হজ্বযাত্রী নিয়ে জেদ্দা বিমানবন্দর ছেড়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ল্যান্ড করেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ বিমানটি ২৪ ঘন্টা দেরীতে জেদ্দা ছেড়েছে। এতে করে যাত্রীরা পুরো এক রাত একদিন সীমাহীন দুর্ভোগে কেটেছে। আর এ কারণে বিমানটি সরাসরি চট্টগ্রাম ল্যান্ড না করে ঢাকায় ল্যাণ্ড করার সিদ্ধান্ত নিলে চট্টগ্রামের যাত্রীরা প্রতিবাদ করেন এবং ক্যাপ্টেনকে সরাসরি চট্টগ্রাম ল্যান্ড করার অনুরোধ জানান।
কিন্তু কর্তৃপক্ষের সাথে তাল মিলিয়ে ঢাকার যাত্রীরা বিমানটি ঢাকা বিমান বন্দরে ল্যান্ড করতে বললে চট্টগ্রামের যাত্রীদের সাথে তাকে তর্কবির্তক থেকে হাতাহাতি শুরু হয়।
একে এম আবু জাফরুল্লাহ নামে একজন যাত্রী বলেন, ২৫ তারিখ সৌদি সময় সকাল ৬টায় হজ্ব যাত্রীদের নিয়ে বিমান ছাড়ার কথা থাকলেও একদিন পর আজ রবিবার সৌদি সময় সকাল ১১টায় বিমান ছাড়ে। কিন্তু সরাসরি চট্টগ্রাম না নেমে ক্যাপ্টন ঢাকায় নামার ঘোষনা দিলে যাত্রীরা সীট বেল্ট খুলে নিজ আসন ছেড়ে মারামারিতে লিপ্ত হন।
তাছাড়া বিমান কর্তৃপক্ষের গায়েলতির কারণে এ সমস্যা হলেও এতোগুলো যাত্রীর দুর্ভোগে তারা কোন খবর নেয়নি।
বাংলাদেশ বিমানের খুব বাজে ব্যবস্থাপনার কারণে এ সমস্যা হয়েছে বলে জানান মহিলা যাত্রী সেলিনা মুস্তফা।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রবিবার রাতে সিভিল এভিয়েশনের (নিরাপত্তার তদন্ত) জ্যেষ্ঠ পরামর্শক ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন এম রহমত উল্লাহ বিষয়টি ব্যাপারে অবগন নন বলে জানান। পরে তিনি প্রতিবেদককে ফোনের লাইনে রেখে কন্ট্রোল রুমের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হন। এবং বলেন, বিমানটির দরজার সমস্যার কারণে ২৪ ঘন্টা দেরীতে আজ বাংলাদেশে এসেছে। তাই তারা জরুরী সিদ্ধান্তে ঢাকায় অবতরণ করার সিদ্ধান্তের কথা যাত্রীদের জানালে যাত্রীরা বিমানে হট্টগোল এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিত সৃষ্টি করেন।
তবে বিষয়টির জন্য দু:খ প্রকাশ করে তিনি জানান- আমরা বিষয়টা তদন্ত করে দেখছি।
তোরা মানুষ হইলি না…
হাহাহা হায়রে বাঙাল
আহারে মানুষ কোথাই কি করতেছিস
বাংঙ্গালীকে এজন্যই কেউ ভালো বাসেনা
সাবাশ এতদিন ছিল মাটিতে এখন আকাশে
তোরা আর কখন মানুষ হবি,,,
ওনারা মনে হয় চিন্তা করতেছে সিটি বাসে আছেন।
এটাই অামাদের বাংলাদেশ।
সাবাশ আছে বটে। দুর্ঘটনার ভয় কাজ করেনি!