অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সন্দ্বীপে বোট ডুবি: আরো ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার

0
মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয় এই ৯ জনের মরদেহ।

বঙ্গোপসাগরের চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটে ইঞ্জিন চালিত লাল বোট ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ যাত্রীদের মধ্যে আরো ৯জনের মর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে মোট ১৪ জনের লাশ মিলেছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সন্দ্বীপ মাইটভাঙ্গা ঘাটঘর দুম্বার খাল, সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া এবং ঘটনাস্থল গুপ্তছড়া এলাকা থেকে ৩ কি.মি. মধ্যে এসব মৃতদেহ পাওয়া গেছে বলে স্থানীয় সুত্র জানায়।

রতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন ৯টি উদ্ধারের খবর নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার দিনভর উদ্ধারকারী বিভিন্ন সংস্থা স্থানীয় জনগেণের সংযোগিতায় ৯টি মরদেহ উদ্ধার করেছে। এসব মরদেহ স্বজনদেরকাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উদ্ধার হওয়া তিন লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- সন্দ্বীপের মুসাপুর গ্রামের হাফেজ উল্লাহ (৫৫), কাছিয়াপাড়া গ্রামের মাইনুদ্দিন (৩৫) ও টেকনাফের বাসিন্দা শামসুল আলম (৩১), বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ-সহকারী প্রকৌশলী, তানভীর মোঃ জোবায়ের (৩০), মুছাপুর শান্তির হাট এলাকার মাকসুদুর রহমান (২২), রহমতপুর খোদা বক্সের বাড়ির শিক্ষক ইউসুফ আলম (৩০), কামরুজ্জামান (৩৫),উসমান মাস্টার (৩৫) ও নিজাম উদ্দিন (৪০)।

এর মধ্যে ৩ টি লাশ উদ্ধার হয়েছে সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া এলাকা থেকে।

উল্লেখ্য রবিবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যার দিকে সন্দ্বীপ গুপ্তছড়া ঘাটের কাছে লালবোট নামে ছোট ইঞ্জিন চালিত বোট ডুবে যায়। বোটটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিল তা কেউ সুনির্দ্দিষ্ট করে বলতে পারেননি।

তবে কোস্টগার্ড এবং স্থানীয়রা জানান, বোটটিতে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ জন যাত্রী ছিল। তার মধ্যে ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার হয়েছে বলে জানান স্থানীয় প্রশাসন।

জেলা প্রশাসক সামশুল আরেফিন জানান, এখনো ৭ থেকে ৮ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে স্বজনদের দাবী।

জানাগেছে, কুমিরা ঘাটঘর থেকে জাহাজে করে যাত্রীরা সন্দ্বীপ যাওয়ার পর জাহাজ থেকে লালবোটে করে গুপ্তছড়া ঘাটে যাওয়ার সময় সাগরে বিরূপ আবহাওয়ার কারণে ছোট ইঞ্জিন চালিত এ লাল বোটটি ডুবে যায়।