সামরিক চুক্তি হচ্ছে না!-ভারত
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত কোনো চুক্তি হচ্ছে না, এক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণে দু্টি সমঝোতা স্মারক সই হবে। শনিবার নয়া দিল্লির সাউথ ব্লকের বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব শ্রীপ্রিয়া রঙ্গরাথনের উদ্ধৃতি দিয়ে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার এ তথ্য জানায়। নয়া দিল্লিতে শেখ হাসিনা-নরেন্দ্র মোদির শীর্ষ বৈঠকের আগে এ খবর প্রকাশ হলো।
শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথন জানান, মোট দু’টি সমঝোতাপত্রে সই করবে দুই দেশ। দুই দেশের মধ্যে চলতি সামরিক সহযোগিতাগুলোকে এক ছাতার নিচে এনে একটি সামগ্রিক ‘ফ্রেমওয়ার্ক’ তৈরি করা হবে। যার মধ্যে রয়েছে সাবমেরিন-প্রশিক্ষণ, তথ্য সহযোগিতা, উপকূলরক্ষীদের মধ্যে সহযোগিতা, সেনাপ্রধান পর্যায়ে আদানপ্রদানের মতো বিষয়। এছাড়া ভারত থেকে সমরাস্ত্র এবং সামরিক প্রযুক্তি কেনার জন্য বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেয়া হবে।
শুক্রবার চারদিনের সরকারি সফরে দিল্লি যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার দিল্লিতে হায়দরাবাদ হাউসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রতিবেশী দুই দেশের ৩০টির মতো চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হবে বলে আভাস দেয়া হয়। ধারণা করা হচ্ছিল, এসব চুক্তির অন্যতম প্রতিরক্ষা চুক্তি। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তির পর নয়া দিল্লির পক্ষ থেকেও তেমন চুক্তির প্রত্যাশা ছিল।
তবে কয়েকদিন ধরেই প্রতিরক্ষা চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করে আসছে বিএনপি। তাদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব খর্বের ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। ভারতের কাছ থেকে সমরাস্ত্র কেনা নিয়েও বিরোধিতা রয়েছে বিএনপির। তারা বলছে, ভারতের সমরাস্ত্র মানম্মত নয়।
সেক্ষেত্রে এই দফায় চুক্তির পথ থেকে সরে আসার কারণও ব্যাখ্যা করেছে আনন্দবাজার। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়, শেখ হাসিনা সরকারকে দেশে কোনো ধরনের চাপে ফেলতে চাইছে না নরেন্দ্র মোদির সরকার। পাশাপাশি ঢাক-ঢোল পিটিয়ে চীনকেও কোনো বার্তা দিতে চাচ্ছে না নয়া দিল্লি।
আনন্দবাজার আরো জানায়, ঘরোয়া সমালোচনার প্রতিবাদে শেখ হাসিনা জানান- তিনি ভারতের সঙ্গে যখন চুক্তি করবেন, সেখানে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা বজায় রেখেই করবেন। দেশবাসীর কাছে কিছুই গোপন রাখবেন না। কিন্তু প্রতিরক্ষার মতো বিষয়ে কিছু গোপনীয়তা রাখা ভারতীয় কৌশলের মধ্যে পড়ে। তাই কৌশল হিসেবে আপাতত চুক্তির পথে না গিয়ে সমঝোতা স্মারকের পথে হাঁটা হচ্ছে।
কোন রাজনৈতিক দলের সাথে চুক্তি করলে সেই চুক্তি কোন মুল্য নেই চুক্তি যদি প্রয়োজন তা বাংলাদেশের জনগন সিন্ধান্ত নেবেন।
কোন রাজনৈতিক দলের সাথে চুক্তি করলে সেই চুক্তি কোন মুল্য নেই চুক্তি যদি প্রয়োজন তা বাংলাদেশের জনগন সিন্ধান্ত নেবেন।
কোন রাজনৈতিক দলের সাথে চুক্তি করলে সেই চুক্তি কোন মুল্য নেই চুক্তি যদি প্রয়োজন তা বাংলাদেশের জনগন সিন্ধান্ত নেবেন।
চুক্তিই হচ্ছে তবে নাম দিচ্ছে সমঝোতা স্মারক হিসেবে!!
চুক্তিই হচ্ছে তবে নাম দিচ্ছে সমঝোতা স্মারক হিসেবে!!