অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর

0
.

সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর হামলার মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি হান্নানসহ তিন জঙ্গির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।

আজ বুধবার রাত ১০টায় কাশিমপুর কাশিমপুর কারাগার ও সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ এ মৃত্যুদণ্ড কার্যক্রর করা হয়। তিনজনকেই একই সময়ে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে বলে এই দুই কারা সূত্রে জানা গেছে।

এর মধ্যে গাজীপুরের কাশিমপুরের হাইসিকিউরিটি কারাগারে মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন জল্লাদ রাজু ও জল্লাদ সাকু মিয়া এবং সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে দেলোয়ার হোসেন রিপনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন জন্য ফারুক জল্লাদ।

সূত্রে জানা গেছে, তাদের তিনজনকেই একইসময়ে বুধবার (১২ এপ্রিল) রাত ১০টা এক মিনিটে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়।

এর আগে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি হান্নানের ফাঁসি যেকোনো সময় কার্যকর হবে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মিজানুর রহমান জানান, ফাঁসি কার্যকর হয়ে গেছে। লাশ নিজ নিজ এলাকায় পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.) মাজারে ২০০৪ সালের ২১ মে আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় আনোয়ার চৌধুরী, সিলেটের জেলা প্রশাসকসহ অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত এবং পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন নিহত হন। ওই মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিচারিক আদালত ৫ আসামির মধ্যে মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল বিপুল ও দেলোয়ার হোসেন রিপনকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মুফতি হান্নানের রিভিউ আবেদন খারিজ করে আগের রায় বহাল রাখেন। এরপর তিন আসামিই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি আবেদন খারিজ করে দেন।