১২ বছর পর ফের বিয়ের পিঁড়িতে জিয়া উদ্দিন বাবলু: দাওয়াত পায়নি নিজ এলাকার কেউ!
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসেন মুহাম্মদ এরশাদের ভাগ্নি মেহজেবুন্নেসা রহমান টুম্পার সঙ্গে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দলটির সাবেক মহাসচিব, সাবেক মন্ত্রী, বর্তমান সংসদ সদস্য জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুর বিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু চট্টগ্রামের জেলার রাউজান উপজেলার ৮ নম্বর কদলপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাছির মোহাম্মদ চৌধুরীর বাড়ির মরহুম ডাক্তার আবুল কাসেম চৌধুরীর প্রথম ছেলে। কিন্তু নিজ এলাকার কেউ বাবলুর এই রাজকীয় বিয়েতে দাওয়াত পায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
রাউজানে জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুর বিয়ের বিষয়টি টক অব দ্য রাউজানে পরিণত হয়েছে। তবে তার জন্মস্থান রাউজানের কেউ দাওয়াত পাওয়ার বিষয়টি সমালোচিত হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলুর আপন চাচাতো ভাই কদলপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল হক চৌধুরী লাভলু জানান, ‘মানুষের মুখে মুখে শুনতেছি ২১ তারিখ নাকি বাবলুর বিয়ে। কিন্তু আমি কিংবা বাড়ির কেউ দাওয়াত পায়নি। রাউজানের কেউ পেয়েছে কিনা সন্দেহ।’
জিয়া উদ্দিন বাবলুর কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আকবর বলেন, ‘এখনো দাওয়াত পাইনি। তবে ছোট আকারের অনুষ্ঠানে সকলকে কী আর দাওয়াত দেওয়া সম্ভব। এখনো সময় আছে বাবলু ভাই ফোনও করতে পারেন।’
বাবলুর নিজ এলাকা কদলপুর ইউনিয়নের বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, তিনি এখনো দাওয়াত পাননি। তিনি বলেন, দাওয়াত পাওয়া না পাওয়া বড় কথা নয়।
একটি সুত্রজানায় গত ২৮ মার্চ এরশাদের সঙ্গী হয়ে সেই ভাগ্নি আর বাবলু একই বিমানে চট্টগ্রামে এসেছিলেন। এরশাদ আর ভাগ্নি আলাদা আলাদা চট্টগ্রামের প্যানিনসুলায় রাত যাপন করলেও বাবলু শহরের চান্দঁগাও আবাসিক এলাকার নিজস্ব বাসায় রাত যাপন করে পরদিন একই ফ্লাইটে এরশাদ সহ বাবলু আর হবু স্ত্রী ঢাকায় চলে যান।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর প্রথম স্ত্রী যশোরের মেয়ে ফরিদা সরকার ২০০৫ সালে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। দীর্ঘ ১২ বছর পর নতুন সংসারে পা রাখবেন ৬১ বছর বয়স্ক বাবলু। জিয়াউদ্দিন বাবলুর পিতা মরহুম ডাক্তার আবুল কাসেম চৌধুরী ও মাতা মরহুমা নুর মোহল চৌধুরীর সংসারে ৪ ছেলে ও ২ কন্যার মধ্যে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু সকলের বড়।
জানাগেছে এই বিবাহ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সহ মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। অথচ যে ভুমিতে ১৯৫৬ ইংতে জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু জন্মগ্রহন করেছেন সেই জন্মভুমির উচু নিচু স্তরের কেউ এই রির্পোট লেখা পর্যন্ত দাওয়াত কিংবা আমন্ত্রন পাননি।
তীব্র নিন্দায় ভাসায়া দেই চলুন!
প্রথম বিয়েতে এলাকার মানুষকে দাওয়াত দিয়েছিলেন তাই হয়তো এবার প্রয়োজন মনে করেননি। তাছাড়া চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা গিয়ে বিয়ে খেতে হলে অনেক কষ্ট হবে ভেবে হয়তো মানবতার এমন কর্ম সম্পাদন হতে বিরত রয়েছেন। তো এতে মাইন্ড করে , , , , , ,
আপনি প্রথম বিয়ে অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন বুঝা গেলো! ২য় বিয়েতে বাকিরা নিক!
তার মানে বিয়ে আমার আর জোর করে দাওয়াত খাবেন আপনি, , , , , আমার ইচ্ছে হয়নি আপনাকে দাওয়াত দেইনি কারণ আপনাকে আমার প্রয়োজন নেই,,,মূল কথা হলো গিয়া আপনার কাছে যা আছে তা আমার দরকার নাই, , , , , , হা হা হা
কিন্তু এরা পরস্পরের ‘দরকারে’ বিয়ে করেছে! … আপনি বরং আমাকে মিসকিন শাহ’তে একবার খাওয়াতে পারেন! আমি ক’জনকে নিয়ে আসবো! না’ করবো না!
ওকে তাই হবে ইনশা অাল্লাহ, , , ,
যার সব শেষ, ইতি বিয়ের দাওয়াত দেবার কথা ভাবের, এ ধরনের আহম্মক কি বেচা কেনা–!