চট্টগ্রামে নারী আইনজীবিকে ঘুষি মেরে ফেঁসে গেলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা
চট্টগ্রামের আদালত পাড়ায় শিক্ষানবীশ এক নারী আইনজীবিকে কিল ঘুষি মেরে রক্তাত্ত আহত করেছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতা।
এ ঘটনায় উপস্থিত জনতা এস এম সোলায়মান (৩২) নামে এ লীগ নেতাকে ধরে গণপিটুনী দিয়ে থানায় সোপর্দ করেছে। বুধবার ২৬ এপ্রিল বিকালে এ ঘটনা ঘটেছে আদালত ভবন এলাকার রেজিস্ট্রি অফিসের সামনের সড়কে।
আহত নারী আইনজীবি পারভিন আক্তার পাপিয়াকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয়া হয়।
জানাগেছে, ঘটনার একদিন আগেই এই তরুণী বিয়ের পিঁড়িতে বসেন।
কিন্তু আগামীকাল বার কাউন্সিলের নিবন্ধন পরীক্ষার ফরম জমা দেওয়ার শেষ দিন থাকায় তিনি জরুরীভাবে কাগজপত্র জমা দিতে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ফরম জমা দিতে আজ তিনি আইনজীবি ভবনের দিকে যাবার পথে রেজিস্ট্রি অফিসের সামনে সোলায়মানের সঙ্গে পাপিয়ার ধাক্কা লাগে। এসময় পাপিয়া প্রতিবাদ করায় ওই যুবক অশালীন কথা বলে। এতে পাপিয়া ঐ যুবকে একটি থাপ্পর মারেন। এতে ক্ষিপ্ত সোলায়মান পাপিয়াকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এতে রক্তাক্ত জখম হন পাপিয়া। এসময় লোকজন সোলায়মানকে ধরে ফেলে উত্তম মধ্যম দিতে থাকলে সে নিজেকে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে পার পাওয়ার চেষ্টা করে।
পরে তাকে কোতোয়ালী থানায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। আটক যুবক সোলায়মান নগরীর বায়েজিদ থানার কুলগাঁও এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে বলে জানাগেছে।
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ বলেন, ঘটনার পর আইনজীবী সমিতির কয়েকজন গিয়ে ওই যুবককে সমিতির কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। আহত শিক্ষানবিশ আইনজীবীর নাকে-মুখে জখম হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার ওসি জসিম উদ্দীন বলেন, এ ঘটনায় পাপিয়ার স্বামী সিরাজুল ইসলাম কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেছেন। তাকে কাল রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করা হবে।
সমস্যা নাই ভাই, সবিই চেতনার কারনে।
আহা হা,,সেচ্চায় সেবা দিতে গিয়ে এই অবস্থা।।ধুনা দিতে হবে।
ইবা কন্ ?
কেনে মাইল্লু