অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রাম বন্দরে দুই দিনব্যাপী পোর্ট এক্সপোর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

0
ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বন্দরের দুই দিনব্যাপী পোর্ট এক্সপোর উদ্বোধন করছেন প্রধানমন্ত্রী।

চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী পোর্ট এক্সপোর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী পোর্ট এক্সপোর উদ্বোধন করেন।

এ উপলক্ষে বন্দরের নতুন কার শেড অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এ সময় দেশের ব্যবসা বাণিজ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর দেশের বড় সম্পদ। এ বন্দরকে বিশের আধুনিক উন্নত বন্দরে পরিণত করে এর সক্ষমতা বাড়াতে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তাই চট্টগ্রাম বন্দরের সুনাম বাড়াতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর শুধু আমাদের বাংলাদেশের জন্য নয় পাশ্ববর্তী দেশগুলোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাদের এ বন্দর ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। এরমধ্যেই ভারত, নেপাল, ভুটান চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দর আরও সমৃদ্ধ হবে। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ্য করেন।

.

এক্সপোর মাধ্যমে বন্দরের কার্যক্রম উপস্থাপনের পাশাপাশি বিশাল শ্রম বাজার সম্পর্কেও দেশের যুব সমাজকে এই এক্সপো থেকে ধারণা দেওয়া হবে বলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর অভ্যন্তরে নবনির্মিত কারশেডে শতাধিক স্টলে এই এক্সপো শুরু হয়েছে। এক্সপো সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।

বিদেশিদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আকৃষ্ট করতে প্রথমবারের মতো এই পোর্ট এক্সপো’র আয়োজন করা হয়েছে। এক্সপোতে বাংলাদেশের সকল বন্দর, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল সংস্থা, বন্দর ব্যবহারকারী, স্টেকহোল্ডার, ব্যবসায়ী সংগঠন, নিরাপত্তা সংস্থাগুলো অংশ নিচ্ছে; এতে ১২৮টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

.

এক্সপো’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য এম এ লতিফ, মোস্তাফিজুর রহমান, নজরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (এডমিন অ্যান্ড প্ল্যানিং) মোহাম্মদ জাফর আলম জানান, ১৩০ তম বন্দর দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে দুই দিনব্যাপী জমকালো এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ ব্যয় করে এই মেলার আয়োজন করেছে। বন্দরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাজ করে। বিভিন্ন স্টেক হোল্ডার রয়েছে বন্দরের। এদের সবাইকে একই ছাদের নিচে এনে উপস্থাপন করার লক্ষ্যে এই মেলা।

.

জাফর আলম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম ব্যাপক হারে বাড়ছে। এক মিলিয়ন কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করতে আমাদের ৩১ বছর লেগেছিল। কিন্তু পরবর্তী সাত বছরে আমরা দ্বিতীয় এক মিলিয়ন কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করেছি। দেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এতে করে বন্দরের সার্বিক কার্যক্রম অনেক বেড়ে গেছে। বিশেষ করে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কার্যক্রম অবাধ রাখতে কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ, ইকুইপমেন্ট সংগ্রহসহ নানা খাতে উন্নয়ন ঘটাতে হচ্ছে। পোর্ট এক্সপোর মাধ্যমে সারা বিশ্বের কাছে আমরা চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম তুলে ধরছি।

*শীঘ্রই চট্টগ্রাম বন্দর গ্রীন ও স্মার্ট বন্দরে আত্মপ্রকাশ করবে