অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে শিল্পকলা একাডেমীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ নামধারীরা

2
জেলা শিল্পকলা একাডেমী, চট্টগ্রাম।

চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী যুবকরা। তারা জোরপূর্বক মঞ্চে ্উঠে মাইকের তার ছিঁড়ে ফেলে মাইক বন্ধ করে দেয়। এতে পণ্ড হয়ে যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

রবিবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কাউকে পায়নি।

এ ঘটনার প্রতিবাদে সাংস্কৃতিক কর্মীরা সোমবার বিকালে মানববন্ধন পালনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

ঘটনাস্থলে থাকা একজন সাংস্কৃতিক কর্মী (নাম বলতে অনিচ্ছুক) জানান, ্নগরীর এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ইমরানের পরিচয় দিয়ে যুবকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয় এবং একাডেমির কর্মকর্তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেছে। ঘটনার প্রতিবাদে কাল সোমবার আমরা প্রতিবাদী মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবো।

জানাগেছে, দেশের শিল্প ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ২০১৬ সালের জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননার জন্য মনোনীত ৫ গুণী ব্যাক্তিকে রবিবার সম্মাননা দিয়েছেন। বিকালে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার মো. রুহুল আমিন। সভাপতিত্ব করবেন জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন।

অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন-চিত্রশিল্পী আহমেদ নেওয়াজ, সংগীতশিল্পী আহমেদ ইকবাল হায়দার, সংগীতশিল্পী কাবেরী সেনগুপ্তা, চট্টগ্রাম চলচ্চিত্র কেন্দ্রের পরিচালক শৈবাল চৌধুরী ও গীতিকার সৈয়দ মহিউদ্দিন।

শিল্পকলা একাডেমীর সুপার ভাইজার মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন জানান, সন্ধ্যায় আলোচনা অনুষ্ঠান শেষ করে জেলা প্রশাসক এবং বিভাগীয় কমিশনার মহোদয় চলে যাবার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হয়। মাগরিবের আযান এবং এশার আযানের সময় অনুষ্ঠান বিরতি দিয়ে চলতে থাকে।

এ অবস্থায় রাত ৮টার দিকে কিছু যুবক এসে কেন নামাজের সময় গানবাজনা করা হচ্ছে জানতে চায়। আমরা তাদের বলি এটা সরকারী অনুষ্ঠান। আজানের সময় অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল। তারা এ কথা না মেনে শিল্পী মঞ্চ থেকে নামতে বাধ্য করে। এবং “বলে আমরাই সরকার চালাই, সরকার আমাদের আমরা যা বলি তাই করি। এখানে কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না’’।

এর তারা শিল্পকলার অফিসের দ্বিতলায় উঠে মাইকের তার ছিঁড়ে ফেলে। এর পর অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। তারা যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায়। আমরা তাৎক্ষনিক জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানিয়েছি। এর কিছুক্ষণ পরপরই পুলিশ আসে।

এ ব্যাপারে রাতে মুটোফোনে জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন পাঠক ডট নিউজকে বলেন, কিছু ছেলে অনুষ্ঠান চলাকালে নামাজের সমস্যার কথা বলে শিল্পকলার অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। আমি খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তারা কাউকে পায়নি। এসব যুবকরা ছাত্রলীগ কিনা আমি জানিনা। কারণ আমি তখন সেখানে ছিলাম না। আমরা চলে আসার পর এ ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে চকবাজার থানার ওসি নূরুল হুদা জানান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলার সময় পাশের একটি ইবাদতখানার কিছু ছেলে নামাজের সমস্যার কথা বলে গান বাজনা বন্ধ করতে গিয়েছিল। এনিয়ে আয়োজক শিল্পকলা একাডেমির কর্মকর্তার সাথে তাদের কিছুটা ঝামেলা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে কাউকে পায়নি।

 

২ মন্তব্য
  1. lal nil sabbir বলেছেন

    নিন্দা জানাই । 

  2. Kalam Khandkar বলেছেন

    Hi brid ragang