অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

শনিবার কক্সবাজার আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

1
.

প্রথমবারের মতো দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে ভ্রমণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৬ মে) সকালে ঢাকা থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে চড়ে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার আসবেন। এই ফ্লাইটের মধ্য দিয়ে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বোয়িং বিমান চলাচলের শুভ সুচনা হবে। উদ্বোধন করবেন কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সম্প্রসারিত রানওয়েতে সুপরিসর ৭৩৭-৮০০ বোয়িং বিমান চলাচল।

এরপর সকাল সকাল ১১টায় সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ ইসিবি কর্তৃক এক হাজার ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

.

এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সড়ক, পরিবহন ও সেতু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সেনাবাহিনী প্রধান উপস্থিত থাকবেন। এরপর সকাল সাড়ে ১১টায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দের সামনে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেবেন তিনি।

বেলা সাড়ে ১২টায় নামাজ ও মধ্যাহ্ন ভোজের পর দুপুর ২টায় কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী আরো ৭টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৮টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।

উদ্বোধন করা উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে, কক্সবাজার সরকারী কলেজের একাডেমিক ভবন ও একাডেমিক ভবন কাম পরীক্ষা হল, কক্সবাজার সরকারী কলেজে ও সরকারী মহিলা কলেজের ১০০ শয্যা বিশিষ্ট ছাত্রী নিবাস, উখিয়া বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মহিলা কলেজের একাডেমিক ভবনের দ্বিতল এবং মহেশখালী-আনোয়ারা গ্যাস সঞ্চালন পাইপ লাইন।

একই সাথে কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বাকঁখালী নদীর উপর খুরুস্কু ঘাটে একটি বক্স গার্ডার ব্রীজ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস ভবন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কক্সবাজার আইটি পার্ক, এলএনজি (লিকুফাইড ন্যাচরাল গ্যাস) টার্মিনাল, এসপিএম(ইনস্টলেশন অব সিংগেল পয়েন্ট মুরিং) প্রকল্প, নাফ ট্যুরিজম পার্ক এবং কুতুবদিয়া কলেজের একাডেমিক ভবনসহ ৮টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

এরপর বেলা ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কক্সবাজার শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিবেন। এরপর বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান যোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে কক্সবাজার ত্যাগ করবেন।

জানা গেছে, ব্রিটিশ শাসনামলে নির্মিত কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রূপান্তর করতে উন্নয়ন কাজ চলছে।

সিভিল এভিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজার বিমানবন্দরে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬৭৭৫ ফুট থেকে ৯০০০ ফুট করা হয়েছে। রানওয়ের প্রস্থ ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট করা হয়েছে। এছাড়া, এয়ারফিল্ড লাইটিং সিস্টেম, ফায়ার ফাইটিংসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংযোজিত হচ্ছে। ২০১৮ সালে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু হবে।

কক্সবাজার বিমান বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানাগেছে, কক্সবাজারে ড্যাশ-৮ কিউ-৪০০ বিমান দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান কর্তৃপক্ষ। অন্যান্য এয়ারলাইন্সও ছোট বিমান দিয়ে কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট পরিচালনা কওে আসছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরের উন্নয়নের ফলে বোয়িং-৭৩৭-৮০০ মতো বড় বিমান অবতরণ করতে সক্ষম হবে। প্রথমে বোয়িং-৭৩৭-৮০০ বিমান দিয়ে কক্সবাজার রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এ বোয়িং-৭৩৭-৮০০ বিমানটি ১৬২ যাত্রী বহনে সক্ষম। কক্সবাজার বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক হলে সেখানে থেকে সরাসরি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করবে বিমান বলে সুত্র জানান।

১ টি মন্তব্য
  1. Mahfuzar Rahman বলেছেন

    পনচ্গড়ও আসেন|