অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ঝিনাইদহের জঙ্গি আস্থানায় অভিযান চলছে, নিহত ২

0
জঙ্গি আস্থানা ঘিরে রেখেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে একটি বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানে সন্দেহভাজন দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে।

আজ রবিবার (৭ মে) ভোরে মহেশপুর উপজেলার এসবিকে ইউনিয়নের বজ্রাপুর গ্রামে এই অভিযান শুরু হয়।

.

মহেশপুর থানার ওসি আহমেদ কবির বলেন, ‘জঙ্গি আস্তানা’ সন্দেহে একটি বাড়ি ঘিরে অভিযান চলছে। অভিযানে দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে। নিহতদের লাশ বাড়ির বারান্দায় ফেলে রাখা হয়েছে। জঙ্গিদের ঘটানো বিস্ফোরণে সিটিটিসির এক কর্মকর্তাসহ পুলিশের তিন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। বাড়ির ভেতর থেকে গুলির শব্দ পাওয়া গেছে।

ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মীজানুর রহমান জানান, সিটিটিসির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার নাজমুল হাসান, ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের এসআই মহসিন আলী ও কনস্টেবল মুজিবুর রহমান আহত হয়েছেন। জনসাধারণের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করতে বাড়িটির ২০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল টিম ঝিনাইদহের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।

.

পুলিশ সূত্রে আরও জানা গেছে, বজরাপুর এলাকার এই বাড়ির মালিক জহুরুল ইসলাম, তার ছেলে জসিম, ভাড়াটিয়া আলমগীর হোসেন ও তাদের প্রতিবেশী আতিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ডিআইজি দিদার আহমেদ আরও জানান, বজরাপুরের পাশাপাশি সদর উপজেলার লেবুতলায়ও একটি পরিত্যক্ত জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. ইউসুফ আলী জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জঙ্গি আস্তানায় আবু আলীকে খুঁজতে গিয়ে ঝিনাইদহে এই দুই আস্তানার খবর পাওয়া গেছে।

.

উল্লেখ্য গত ২২ এপ্রিল ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামের ঠনঠনেপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইউনিটের সদস্যরা।অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন সাউথ প’ বা দক্ষিণের থাবা। প্রায় ৪ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের অভিযানে ওই জঙ্গি আস্তানা থেকে বিস্ফোরক তৈরি রাসায়নিক ভর্তি ২০টি ড্রাম, একটি সেভেন পয়েন্ট সিক্স বোরের পিস্তল, একটা ম্যাগাজিন, সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পাঁচটি বোমা নিষ্ক্রিয় করা হয়। বাড়ির ভেতর থেকে ১৫টি জিহাদি বইও উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের ৩০ জন এবং খুলনা রেঞ্জের পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), র‌্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৪০০ সদস্য এই অভিযানে অংশ নেন।