অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ভারতে প্রতারিত বাংলাদেশি সেই যৌনকর্মীকে সাহায্যে ব্যাপক সাড়া

0
.

ভারতে গিয়ে প্রতারিত হওয়া বাংলাদেশি সেই যৌনকর্মীর প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দেশি-বিদেশি অনেকে। ইতোমধ্যে তিনি ১০ হাজার রুপি নতুন নোট সহায়তা পেয়েছেন। এ ছাড়া তাকে সাহায্যের জন্য উদ্ধারকারী এনজিও সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন অনেকে।

সম্প্রতি ওই তরুণী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে উদ্দেশ করে টুইটারে একটি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি হাতে লেখা একটি চিঠির ছবি দিয়েছেন। চিঠিতে ওই নারী উল্লেখ করেন, ভারতের বেঙ্গালুরুর এক যৌনপল্লীতে দেড় বছর কাটিয়েছেন। তখন খদ্দেরদের দেওয়া কিছু বকশিস গোপনে জমিয়েছিলেন। তার কাছে এমন ১০ হাজার রুপি সমপরিমাণের বাতিল নোট রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি বাতিল নোটগুলো বদলে নতুন নোট দেয়ার জন্য অনুরোধ জানান।

২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ভুক্তভোগীর মুক্তি মিললেও যে ভারতীয় রুপি জমিয়েছিলেন তা আর বদলাতে পারেননি তিনি। দুর্নীতি দমনের লক্ষ্যে গত নভেম্বরে পাঁচশ’ এবং এক হাজার রুপির নোট বাতিল করেন ভারতের মোদি সরকার। অরুণার জমিয়ে রাখা নোটগুলোও বাতিল হয়ে গেছে তখন।

বুধবার মিড-ডেই ডটকমের খবরে বলা হয়, ওই নারীর টুইট নিয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর অনেকেই তাকে অর্থ সহায়তা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। ইতোমধ্যে দেশের বাইরে থেকেও অনেকে তাকে অর্থ সহায়তা দিতে ফোন করেছেন।

ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে এনজিও সংস্থা ‘রেসকিউ ফাউন্ডেশন’। এ খবর প্রকাশের পর তাকে সাহায্যের জন্য সংস্থাটিকে কয়েকজন ফোন করেছেন। পুনের এক দম্পতি ইতোমধ্যে তাকে ১০ হাজার রুপির নতুন নোট দিয়েছেন।

এনজিও সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা অস্ট্রেলিয়া থেকে এক নারীর ফোন পেয়েছে। ভুক্তভোগীর জন্য অর্থ সহায়তা দিতে তিনি তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার চেয়েছেন।

এনজিও সদস্যরা আরও জানান, পাঞ্জাবের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তারা একটি ফোন কল পেয়েছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন তাকে কিভাবে সাহায্য করা যায়।

রেসকিউ ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক ডিপেশ তাঙ্ক বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন তার সাহায্যে এগিয়ে আসায় আমরা আনন্দিত। জানতে পেরে ভালো লাগবে যে, সে যা হারিয়েছে তার চেয়ে বেশি কিছু পাবে।

চিঠিতে বাংলাদেশি যৌনকর্মী বলেন, সে স্বেচ্ছায় যৌনকর্মীর পেশায় আসেনি। দেশে কাজ করতেন পোশাক শ্রমিক হিসেবে। তার এক সহকর্মী তখন আরও বেশি বেতনে একই কাজ করানোর লোভ দেখিয়ে তাকে ভারতে নিয়ে যায়। এরপর বিক্রি করে দেয় বেঙ্গালুরুর এক যৌনপল্লীতে। সেখানে দেড় বছর রাখার পর তাকে পুনরায় বিক্রি করা হয় পুনের আরেক পতিতালয়ে। তবে সেই পতিতালয়ে যাবার একদিন পর গত ডিসেম্বরে তাকে উদ্ধার করে মুম্বাইভিত্তিক সংগঠন ‘রেসকিউ ফাউন্ডেশন’।