রাজশাহীতে জঙ্গি হামলায় ফায়ার কর্মীসহ ৬ জন নিহত
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার জঙ্গি আস্তানায় অভিযানের সময় বোমা হামলায় একই পরিবারের ৫ জঙ্গি এক ফায়ার সার্ভিস কর্মীসহ ৬ জন নিহত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহতরা হলো- ফায়ার সার্ভিস কর্মী আবদুল মতি, বাড়ির মালিক ও জঙ্গি সাজ্জাদ হোসেন, তার স্ত্রী বেলী বেগম (৪০), ছেলে আল আমিন (২৫), সোয়েব এবং মেয়ে কারিমা বলে ধারণা করছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
এসময় জঙ্গিদের ছোঁড়া গ্রেনেডে দুই পুলিশ সদস্য ও এক ফায়ার সার্ভিসকর্মী গুরুতর আহত হন। এর আগে ভোর থেকে পুলিশ বাড়িটি ঘিরে রেখেছিলো।
তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফায়ার সার্ভিসকর্মী আবদুল মতিনকে (৪৫) মৃত ঘোষণা করেন। আহত অবস্থায় পুলিশের এএসআই উৎপল কুমার ও কন্সটেবল তাইজুল ইসলাম চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে গোদাগাড়ী থানার ওসি হিপজুর আলম মুন্সি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার ভোররাতে মাটিকাটা ইউনিয়নের হাবাসপুর-বেনীপুর এলাকায় মাঠের ভেতর ওই জঙ্গি আস্তানাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। এরপর মাইকে জঙ্গি আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়। সাড়া না মেলায় ফায়ার সার্ভিসকে ডেকে বাড়ির ভেতরে পানি স্প্রে করা হচ্ছিল।
এ সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে জঙ্গিরা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসেরকর্মীদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড ছোড়ে। এতে দুই পুলিশ সদস্য ও ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী আহত হন। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে ফায়ার সার্ভিসকর্মী আবদুল মতিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
ওসি জানান, জঙ্গিরা গ্রেনেড ছোড়া শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। তবে এসময় জঙ্গিরা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েই আত্মহুতি দেয়। এ ঘটনার পর বাড়ির ভেতর থেকে নিহত জঙ্গি আল-আমিনের দুই শিশু সন্তানকে উদ্ধার করা হয়। সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নিহতদের লাশ ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিল। সেখান থেকে আলামত সংগ্রহ করছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পুলিশ জানিয়েছে, সাজ্জাদ আলীর বাড়ি ছিল পদ্মার চরাঞ্চলে। কয়েক বছর আগে পাশের গ্রাম মাছমারায় শ্বশুর বাড়ির পাশে এসে বাড়ি করে। সেখান থেকে চলে এসে প্রায় দুই মাস আগে হাবাসপুরে মাঠের ভেতর টিন দিয়ে একতলা এই বাড়িটি তৈরী করেন। সাজ্জাদ ফেরি করে গ্রামে গ্রামে কাপড় বিক্রি করতেন।
রাজশাহী শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের বেনিপুর গ্রামে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঘিরে রাখা একটি বাড়িতে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাঁচ জঙ্গিসহ আব্দুল মতিন নামে এক ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া বোমার স্প্লিন্টারে দুই পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন। ওই পাঁচজনের মধ্যে নারী সদস্য রয়েছে বলে জানিছে পুলিশ।
তবে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলেও ওই বাড়ি থেকে এক ও চার বছরের দুই শিশুকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকাল পৌনে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গোদাগাড়ী পুলিশ জানায়, এদিন ভোর থেকে ওই বাড়িটি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখে পুলিশ। সকাল পৌনে ৮টার দিকে ওই আস্তানা থেকে একটি আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার আগে ওই বাড়ি থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ ও গুলি ছোড়া হয় বলে জানিয়েছে গোদাগাড়ী পুলিশ।
এ বিষয়ে গোদাগাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিবজুর আলম মুন্সী টেলিফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভোর থেকেই ওই বাড়িটি ঘিরে রাখা হয়েছিল। সকালের দিকে ওই আস্তানা থেকে বোমা নিক্ষেপ ও গুলি ছোড়া হয়। পরে সকাল পৌনে ৮টার দিকে ওই বাড়ির ভেতর থেকে একটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। এতে আস্তানার ভেতরে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নারী সদস্য রয়েছেন। এ ঘটনায় আমাদের দুই পুলিশ সদস্য ও একজন ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যেফায়ার সার্ভিস কর্মীর অবস্থা গুরুতর।তবে ওই বাড়ির ভেতর থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
এদিকে সকাল পৌনে ১০টার দিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ফায়ার সার্ভিস কর্মী আব্দুল মতিনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আব্দুল মতিনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সদস্য শফিউল আজম।
Nice one