অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন

0
BABUL-03
নিহত মিতুর ফাইল ছবি।

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে।

হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আলোচিত এ হত্যা মামলার উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে না পারা এবং আসামি গ্রেফতার ও আদালতে সোপর্দ করা নিয়ে নানা সমালোচনার মুখে মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজি রকিব উদ্দিনকে পরিবর্তন করা হয়েছে।

তার পরিবর্তে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ পেয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিন জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।

শনিবার রাতে এই পরিবর্তন করেন নগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার। তবে রবিবার সকালে সিএমপির নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সিএসপি সূত্রে জানাগেছে, মিতু হত্যাকাণ্ডের পর নগরীর পাঁচলাইশ থানায় স্ত্রী হত্যায় মামলা দায়ের করেন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার।

মামলা দায়েরের একদিন পরেই এই মামলাটি নগর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। মামলা তদন্তে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী রকিব উদ্দিনকে।

তদন্ত কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আবু নসর গুন্নু নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেন হাটহাজারীর ফরহাদাবাদ থেকে। গুন্নুকে গত বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করার পর রিমান্ডের আবেদন করা হয়। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র উপস্থাপন করতে না পারায় রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেনি আদালত।

এতে সমালোচনার মুখে পড়েন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাজি রকিব উদ্দিন। এ ছাড়া এই গ্রেফতার নিয়ে পুলিশ ৩০ লাখ টাকার বাণিজ্য করেছে বলে গুন্নুর পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ উঠেছে। এমন সমালোচনার মুখে আলোচিত এই মামলাটি নতুন করে তদন্তের দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম গোয়েন্দা বিভাগের দক্ষিণ জোনের সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামানকে।

এদিকে শুক্রবার রাতে নগরীর বায়েজিদ থানার শীতলঝর্না এলাকা থেকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে শাহ জামাল রবীন (২৮) একজনকে আটক করা হয়। আটক রবীন কুমিল্লার লাকসাম থানার মো. শাহজাহানের ছেলে।

উল্লেখ্য গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোডে দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।