অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

হাটহাজারীতে দুই শিশু জিম্মি করে মাকে গণধর্ষণ, এক ধর্ষক গ্রেফতার

1
.

চট্টগ্রামে হাটহাজারীতে দুই শিশু সন্তানকে জিম্মি করে তাদের মাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ২নং গেইটের পূর্বে আলাওল দীঘি সড়ক সংলগ্ন এলাকায় গত বুধবার রাতে ন্যাক্কারজনক এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানাগেছে।

গণপিটুনীর শিকার ধর্ষক সোহেল।

এ ঘটনায় জড়িত সোহেল (৩২) নামে লম্পটকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকার লোকজন। আটক সোহেল এলাকার মফজল মেম্বার বাড়ীর মৃত আব্দুল শুক্কুরের পুত্র।

এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে এজাহারভূক্ত বাকী দুই ধর্ষকের তথ্য প্রকাশ করেনি।

পুলিশকে দেয়া ধর্ষিতা নারীর বর্ণনা মতে,  তার স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে চার বছর ধরে মফজল মেম্বার বাড়ীর জনৈক কায়সার উদ্দিনের ফার্মে সেমিপাকা ঘরে বসবাস করে আসছেন। বুধবার সন্ধ্যায় স্বামী তার বাসার সামান্য অদূরে নির্মিতব্য একটি বিল্ডিংয়ে যান। তিনি ওই বিল্ডিং এর নাইট গার্ড হিসেবে কাজ করেন।

স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে রাত সাড়ে বারোটার দিকে সন্ত্রাসী মোঃ সোহেল ও তার অপর দুই সঙ্গী মহিলার ঘরে প্রবেশ করে তার শিশু সন্তানের গলায় ছুরি ধরে। ছেলের কান্না শুনে তিনি সজাগ হলে সোহেলের সঙ্গীরা তাকেও ছুরি দিয়ে জিম্মি করে। এসময় তারা ছেলেদের জবাই করে খুন করার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক ওই মহিলাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

তারা মহিলাকে বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুলতে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে চলে যায়। পরে মহিলার চিৎকারে স্থানীয় ও তার স্বামী ঘরে এসে ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হন।

এদিকে সকালে এ ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ জনগণ মহিলার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ধর্ষক সোহেলকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে খবর পেয়ে হাটহাজারী থানা পুলিশের এসআই আরিফুজ্জামানা খান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

ধর্ষিতার স্বামী বলেন, “আমার অনুপস্থিতি ধর্ষকরা আমার সন্তানদের সামনেই তাদের মাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।”

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি অপারেশন) মো. কামাল উদ্দিন জানান, “ধর্ষিতা নিজে বাদী হয়ে ৩ জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। ধর্ষিতাকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোহেলকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের আটক করতে সর্বাত্বক চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।”

ধর্ষিতা নারীর ৬ বছরের ছেলে ও দেড় বছর বয়সী মেয়ে রয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসী পালাতক দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি দাবী করেছেন।

১ টি মন্তব্য
  1. Kauser Parvin বলেছেন

    ওকে উলঙ্গ করে রাস্তায় হাটানো,পরে অন্য বিচার।।