অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

মিতু হত্যা মামলা তদন্তে ৫ টি সহায়তা কমিটি গঠন

0
13344548_959767264142521_1352672472092852543_n
বাবুল আক্তারের নিহত স্ত্রী মিতু। ফাইল ছবি

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের পর এবার চাঞ্চল্যকর মিত্যু হত্যা মামলা তদন্তে ৫টি পৃথক সহায়তা কমিটি গঠন করা হয়েছে।

রোববার (১২ জুন) দুপুরে সিএমপিতে এক সভায় পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) একেএম শহীদুল হকের উপস্থিতিতে পাঁচটি কমিটির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

সিএমপির উপ-কমিশনার (উত্তর) পরিতোষ ঘোষ পাঁচটি আলাদা কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পাঁচটি কমিটি হচ্ছে, অভিযান, আসামিকে জেরা, কেস ডকেট পর্যালোচনা, ভিডিও ফুটেজ সংগ্র্রহ ও পর্যালোচনা এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ।

BABUL-03
নিহত মিতু’র লাশ উদ্ধার করছেন পুলিশ।

হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ অতিবাহিত হতে চললেও তদন্তে কোন ধরণে অগ্রগতি না হওয়া, মূল আসামী সনাক্ত বা গ্রেফতার করতে না পারায় ব্যাপক সমালোচনা এবং চাপের মুখে রয়েছেন পুলিশ।

এ অবস্থায় আজ  তদন্ত টিমকে সহায়তা দেয়ার জন্য ৫  টি সহায়তা কমিটি ঘটনের নির্দেশ দেন আইজিপি।

রোববার সিএমপির মুখপাত্র এডিসি আনোয়ার হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ কর্মকতা এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডে পাঁচটি কমিটি করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ (সিএমপি)।

৫টি পৃথক কমিটির মধ্যে অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) নাজমুল আলম।

জেরার জন্য গঠিত কমিটির প্রধান হয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) হুমায়ন কবির।

কেস ডকেট পর্যালোচনার দায়িত্ব পেয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ।

ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ কমিটির প্রধান হয়েছেন নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারি কমিশনার (আইসিটি) জাহাঙ্গির আলম।

গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে নেতৃত্ব দেবেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) কাজী মুত্তাকি ইবনু মিনান।

প্রতিটি কমিটিতে সর্বনিম্ন পাঁচজন থেকে সর্বোচ্চ নয়জনকে সদস্য করা হয়েছে।  নগর পুলিশ ও বিভিন্ন থানার দক্ষ কর্মকর্তাদের এসব কমিটিতে রাখা হয়েছে।

এর আগে তদন্ত কর্মকর্তা নগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী রাকিব উদ্দিনকে প্রত্যাহার করে নতুন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয় নগর গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ জোনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ কামরুজ্জামানকে।

উল্লেখ্য, গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় নগরীর ও আর নিজাম রোডে দুর্বৃত্তদের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।