অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুলনা বিএনপি নেতা মিঠু ও দেহরক্ষী নিহত

2
নিহত আলাউদ্দিন মিঠু।

খুলনা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফুলতলা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দিন মিঠু (৪২) এবং তাঁর দেহরক্ষীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ফুলতলা উপজেলায় মিঠুর নিজ কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় আলাউদ্দিন মিঠু’র শশুরসহ  আরো দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়। তাঁদের ফুলতলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও মিঠুর বড় ভাই সেলিম সরদার জানান, রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনটি মোটরসাইকেলে ডিবি পুলিশের পোশাক পরা পাঁচ-ছয়জন এসে গুলি করতে করতে মিঠুর অফিসে প্রবেশ করেন। তারা অফিসের ভেতর ঢুকে মিঠুর মাথায় গুলি করে। এই সময় ৩০ থেকে ৩৫ রাউন্ড গুলির শব্দ শোনা যায়।

আলাউদ্দিন মিঠুর স্ত্রীর আহাজারী।

দুর্বৃত্তরা হত্যাকাণ্ডের পর আবার মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে মিঠুর মৃত্যু হয়। এসময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মিঠুর দেহরক্ষী সিরাজ ও শ্বশুর সৈয়দ ফজলুল আলম সেলিমও গুলিবিদ্ধ হন।

মিঠুর দেহরক্ষীসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিরাজকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘটনা জানার পর খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও খুলনা সিটি মেয়র মনিরুজ্জামান মনি ঘটনাস্থলে আসেন। তারা ঘটনার জন্য আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দায়ী করেন।

এ ব্যাপারে ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান এবং পুলিশ সুপারের মোবাইলে একাধিক বার কল করা হলেও তাঁরা ধরেননি।

২ মন্তব্য
  1. AK Azad বলেছেন

    খুনীদের ফাঁসি চাই

  2. M Rafiqul Islam বলেছেন

    বিচার কার কাছে চায়ব