ডিবি’র রিমান্ডে সাতকানিয়া জামায়াত নেতার মৃত্যু
চট্টগ্রামে ডিবি পুলিশের হেফাজতে থাকা আহমদ ছফা (৪২) নামে জামায়াতে ইসলামীর এক নেতার মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
পরিবার ও জামায়াতের পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে রিমাণ্ডে নির্যাতনেই আহমদ ছফার মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, আহমদ ছফা ডায়াবেটিস ও যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এসব রোগের কারণে তিনি অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাত পৌনে ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে জানান সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) সালেহ মো.তানভীর।
নিহত আহমদ ছফা সাতকানিয়া উপজেলা ঢেমশা ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি ছিলেন। নগরীর শেখ মুজিব রোডের “ছাপা মোটরস” নামে তার একটি মোটর পার্টসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আগ্রাবাদ মোল্লাপাড়স্থ “নীরিবিলি” নামে একটি ভবনে স্বপরিবারে বসবাস করতেন।
পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, সাতকানিয়ার রামপুর এলাকার পশ্চিম ঢেমশার মৃত এজাহার মিয়ার পুত্র আহমদ ছফা ২ মেয়ে ১ ছেলের বাবা ছিলেন।
রাতে ছফার স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করলে এক নারী নিজেকে ছফার শ্যালিকা পরিচয় দিয়ে বলেন তার বোন অজ্ঞানবস্থায় আছেন, তার সাথে কথা বলা সম্ভব হবে না। তবে তিনি জানান, আহমদ ছফার মৃত্যুর ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। একজন নিকট আত্মীয় তাদের জানিয়েছেন পুলিশের হেফাজতে ছফার মৃত্যু হয়েছে। লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। কিন্তু পুলিশ লাশ দিচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এদিকে রাত দুইটায় জামায়াতের মজলিশে শূরার সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী জানান পুলিশের রিমান্ডে থাকাকালে আহমদ ছফা মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা শুনেছি। তবে তিনি কিভাবে মারা গেছেন তা গেছে তা এ মূহুর্তে বলতে পারছি না। পুলিশ আমাদের কিছুই জানায়নি।
উল্লেখ্য-গত ২৪ মে রাতে মহানগরীর চকবাজার এলাকার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর আবুল ফয়েজ এবং আহমদ ছফাসহ ৬জন নেতাকর্মী আটক করেছিল নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
পরে চকবাজার থানার একটি নাশকতার মামলায় আহমদ ছফাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একদিনের রিমান্ড নেয় ডিবি।। বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে কারাগার থেকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চমেক হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানায় ডিবি পুলিশ।
so sad…..!!!
রমজানেও থেমে নেই বর্বরতা!