নিউ মার্কেট এলাকায় হকার-পুলিশ সংঘর্ষঃ পুলিশের ফাঁকা গুলি, আটক ৯
চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকায় সড়ক জুড়ে বসা ভাসমান হকারদের সাথে পুলিশের তুলুম সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পুলিশের প্রতি ইটপাটকেল নিক্ষেপের জবাব হিসেবে পুলিশ অন্তত ২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালায়। আজ শুক্রবার সরকারী বন্ধের দিন বিকালে এ সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে অন্তত ৪/৫ জন আহত হলেও তাদের ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়নি।
জানাগেছে, মার্কেটের সামনে অস্থায়ী দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় জনবহুল এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে নয়জন হকারকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নিউমার্কেট এলাকার জলসা সিনেমা হল থেকে শাহ আমানত মার্কেটের বিপরীত দিকের আমতল মোড় পর্যন্ত রাস্তায় বিক্রির জন্য পণ্যের পসরা নিয়ে বসার চেষ্টা করে ৫০ থেকে ৬০ জন হকার। পুলিশ বাধা দিলে হকাররা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে পুলিশের সঙ্গে হকারদের থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। এ সময় রেয়াজউদ্দিন বাজার, শাহ আমানত ও হকার্স মার্কেটের মূল ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। সংঘর্ষের কারণে প্রায় দেড় ঘণ্টা সব ধরনের গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, জন দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে নিউমার্কেট এলাকায় রাস্তার ওপর হকারদের বসতে দিইনি। ১৯ রমজান পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হকাররা ফুটপাতে নিজেদের ব্যবসা করেছে। কিন্তু হঠাৎ করে হকাররা রাস্তায় মালামাল নিয়ে বসার চেষ্টা করলে আমরা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করি। তখনই পুলিশের দিকে তাঁরা ইটপাটকেল ছুড়ে মারে। পুলিশ ২১টি রাবার বুলেট ছুড়েছে। এ ঘটনায় ৯ জনকে আটক হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ৫০ থেকে ৬০ জন হকার জলসা সিনেমা হলের সামনে থেকে আমতল মোড় রাস্তার একাংশ দখলের চেষ্টা করেন। পুলিশ সদস্যরা তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসতেই হকাররা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। এসময় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকজন হকার বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন দোকানের দরজা ও দেয়ালে বাড়ি দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করে। পুলিশও পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ওপরের দিকে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তখন আতঙ্কজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ফুটপাতের হকার আলমগীর বলেন, রোজার মাস শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেক হকার ব্যবসা করার সুযোগ পাচ্ছে না। তাঁরা রাস্তায় মালামাল নিয়ে বসার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
সংঘর্ষের দুই ঘণ্টা পর সন্ধ্যার দিকে নিউমার্কেট এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। গাড়ি চলাচলও শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে ফুটপাতের হকাররা প্লাস্টিক দিয়ে নিজেদের মালামাল ঢেকে রেখেছেন। সংঘর্ষের পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নয়জন হকারকে আটক করেছে। তাঁদের কোতোয়ালি থানা ভবনে রাখা হয়েছে।
এটা প্রশাসনের সাহসী সিদ্ধান্ত।
পুরো রাস্তা জুড়ে হকার বসে থাকে।
ক্ষমতাসীন দলের দুষ্ট নেতা ও কতিপয় দূর্নীতিবাজ পুলিশ জড়িত।
রমযানের আগে কই চিলো
এত দিন কি ঘুমাইয়া ছিলি রমজান মাস আসলে সব কিছু ? মানুষের জান নিয়ে টান মান ওরা কিনা । আরে ভাই গরীব মানুষদের কিছো হলেও উপকার হবে । গ্রাস লাগিয়ে মহল গুলো তো চুরি করছে সেটা জানা নাই ৩০০ টাকার পোসাক ৩×৩৬ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে তার হিসাব কে রাখবে,,,,,
আমার মতে শহর যানজট সৃষ্টি করার প্রধান কারণ রাস্তার উপর হকার্স বসার জন্য।।। যাতায়াত করার সমস্যায় পড়ে নানা শ্রেণীর মানুষ।।।