অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

বিএসএফ’র গুলিতে নিহত দু’জনের লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবির চিঠি

5
.

ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খোসালপুর সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত সোহেল রানা (১৭) ও হরুন অর রশিদ (২০) নামে দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিজিবি।

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঝিনাইদহ খালিশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল জিল্লুর রহমান। তিনি জানান, আমরা নিশ্চিত হয়েছি ভারতের কুমারীপাড়া এলাকায় দুই বাংলাদেশী বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত হয়েছেন। পতাকা বৈঠক ও তাদের লাশ ফেরত আনার পক্রিয়া আমরা শুরু করেছি।

এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে বিজিবির খোসালপুর ক্যাম্প কমান্ডার আবু তাহের জানিয়েছিলেন, আমরা প্রতিবাদপত্রসহ লাশ ফেরত চেয়ে চিঠি দিলেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না বিএসএফ। এর আগে স্থানীয় গরু ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরের প্ররোচনায় পড়ে ভারতের অভ্যন্তরে রাখাল হিসেবে গরু আনতে গিয়ে নিহত হন সোহেল রানা ও হারুন। তাদের সাথে আরো অনেকেই ছিলেন বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার ভোরে ভারতের কুমারীপাড়া একটি কলাবাগানের মধ্যে অবস্থানকালে বিএসএফ তাদের উপর গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই সোহেল রানা ও হারুন নিহত হন। অপর একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হয় বলে গোয়েন্দাদের একটি সূত্রে জানা গেছে।

নিহত সোহলে রানা মহেশপুরের বাকশপোতা স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র ও খোসালপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। অন্য দিকে নিহত হারুন অর রশিদ মহেশপুরের শ্যামকুড় মসজিদ পাড়ার কাউসার আলীর ছেলে। খোসালপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ারুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার ভোরের দিকে ভারতের কুমারীপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকালেই আমরা লোকমুখে কানাঘুষা করতে শুনি। মহেশপুরর শ্যামকুড় গ্রামের এনামুল হক জানান, হারুন আমার সাথে দেশী গরুর ব্যবসা করতো। গত দুই দিন তার সাথে আমার আর যোগাযোগ নেই। শুনেছি সে ভারতে গরু আনতে গিয়ে মারা গেছেনে।

৫ মন্তব্য
  1. Ali Akkas বলেছেন

    আমাদের কত বড় আপন বন্ধু গুলীকরে মারছে! আবার লাশও নিয়ে গেছে!

  2. Alim Uddin বলেছেন

    বলদেরা শুধু লাশ নিতে পারবে প্রতিবাদ করতে পারবেনা।

  3. Alim Uddin বলেছেন

    বলদেরা শুধু লাশ নিতে পারবে প্রতিবাদ করতে পারবেনা।

  4. Bahar Uddin বলেছেন

    লাশ নেয়নি। ওদের অংশে গুলি করে মারা হয়েছে। তবে তারা অবৈধ পথে গরু ব্যবসায়ী।

  5. Bahar Uddin বলেছেন

    কারও ঘরে চুরি করতে ঢুকলে ধরা পড়ে গেলে প্রতিবাদের ভাষা থাকে না। গরু আনতে অবৈধ পথে তাদের সীমানায় ঢুকেছে বলেই নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রাণ হারাতে হয়েছে।