অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে এবার ঈদের কাপড়ে বাজারে অভিযান

0
Barisal-bazar-md20150709135048
ফাইল ছবি।

চিনি, ছোলা, কাঁচা মরিচের পর এবার প্রথম বারের মত চট্টগ্রামে ঈদের কাপড়ের বাজারে মনিটরিং শুরু করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর ঐতিহ্যবাহী টেরীবাজারের বিভিন্ন  কাপড়ের দোকানে  কাপড়ের মূল্য মনিটরিং করা হয়।

চট্টগ্রাম  জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পরিচালিত অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান, তাহমিনা আক্তার ও রঞ্জন চন্দ্র দে।

ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান জানান, বাজার কমিটির প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়, মার্কেটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর উপস্থিতিতে বিভিন্ন দোকানে বিক্রিত পণ্যের ক্রয়মূল্যের সাথে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্য দেখা হয়। এতে নানান ধরণের অসামঞ্জস্য লক্ষ্য করা যায়, আবার অনেক দোকানে সন্তোষজনক দামও লক্ষ করা যায়। অভিযানে সহযোগিতা করে পুলিশ ও ব্যটালিয়ন আনসার। এ ছাড়া চট্টগ্রাম চেম্বার ও ক্যাবের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।  

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে ও রমজানে বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণের  নিয়মিত অংশ হিসেবে প্রথমবারের মত বিখ্যাত কাপড়ের বাজার টেরীবাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।। এসময় বেশ কয়েকটি দোকানে ক্রয়মূল্যের সাথে  বিক্রয়মূল্যের ব্যাপক পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।স্টার প্লাস নামক এক দোকানে দেখা যায় কাপড় ভেদে তারা ২০০০ থেকে ৪০০০ টাকা লাভ করেন। টেরিবাজারেরই অন্য দোকান থেকে কিনে তারা বেশি দামে বিক্রয় করেন। আবার মেগামার্টে ঢাকার উর্দু রোড থেকে এক হাজার টাকায় কেনা পাঞ্জাবি তারা বিক্রি করেন ৩৫০০ টাকায়। এভাবে প্রায় দশটি দোকানে মূল্য পর্যবেক্ষন করেন।

যেহেতু কাপড়ের বাজারে এধরণের অভিযান প্রথম , তাই ব্যাবসায়ীদেরকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয় এবং মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার নির্দেশ প্রদান করা হয়। এসময় বাজার কমিটির সহায়তায় তাদের কনফারেন্স রুম থেকে পুরো মার্কেটে কেন্দ্রীয় সাউন্ড সিস্টেমের মাধ্যমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিলুর রহমান ব্যবসায়ীদেরকে কিছু নির্দেশনা দেন।

তন্মধ্যে ক্রয়মূল্যের ইনভয়েস সংরক্ষণ ও ক্রেতাকে বিক্রয়মূল্যের রশিদ প্রদান করার নির্দেশনা জারি করা হয়। ক্রেতা সাধারনের সাথে ভালো ব্যবহার নিশ্চিত করার কথা নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের পরিকল্পনা অনুযায়ী চট্টগ্রামের সকল কাপড়ের বাজার ও মার্কেটে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে অপর এক অভিযানে  নগরীর ফয়েস লেক এলাকায় কয়েকটি ঔষধের দোকানে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তর্ণ , অননুমোদিত ঔষধ বিক্রির দায়ে চার জন বিক্রেতাকে ২৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া চট্টগ্রামের অন্যান্য কাঁচা বাজারে অধিকাংশ পণ্যের দামে স্থিতিশীলতা লক্ষ করা যায়। পাহাড়তলী বাজারে মূল্য তালিকা না থাকায় একজন বিক্রেতাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাব্বিরি রহমান সানি ইসতিয়াক আহমেদ ও সানজিদা সুলতানা।

আতুড়ার ডিপো বাজারে মেয়াদোত্তীর্ণ দ্রব্য বিক্রি করায় পাঁচ বিক্রেতাকে মোট পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফোরকান এলাহী অনুপম,  নাঈমা ইসলাম ও শেখ নুরুল আলম।  পুলিশ ও ব্যাটেলিওন আনসার আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে সহযোগিতা করেন।