অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত

0
.

যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হয়েছে। দেশের মুসলমান সমপ্রদায় মহান আল্লাহ পাকের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা ও পুণ্যলাভের আশায় রাত জেগে ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে মহিমান্বিত এ রাত কাটান।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে লাইলাতুল কদর উত্তম রাত। পবিত্র কোরআনে শবে কদর বা লাইলাতুল কদরকে হাজার মাসের চেয়ে উত্তম রাত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। এই এক রাতের ইবাদতকে হাজার মাসের ইবাদতের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।

পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি রাত জেগে তারাবিহ, তাহাজ্জুদ, নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, মৃত আত্মীয় স্বজনের রুহের মাগফেরাত কামনায় কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে হাজার বছরের চেয়েও শ্রেষ্ট রজনী অতিবাহিত করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। আল্লাহ তাআলা যে মহিমাময় রাত্রিকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন, যে একটি মাত্র রজনীর ইবাদত-বন্দেগিতে হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও অধিক সওয়াব অর্জিত হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেই মহিমান্বিত ও শ্রেষ্ঠ রজনী লাইলাতুল কদরের রাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অনুগ্রহ কামনা করা হয়েছে। মসজিদে মসজিদে নামাজ, মিলাদ কিয়াম শেষে মুনাজাতে বিশ্ব মুসলিমের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়েছে।

লাইলাতুল কদর উম্মতে মুহাম্মদীর (দ.) জন্য আল্লাহ তায়ালার এক বিশেষ নিয়ামত। এই রাতে অজস্র ধারায় আল্লাহর খাস রহমত বর্ষিত হয়। এই রাতে নাযিল হয়েছে পবিত্র কোরআনুল করিম। এই রাতে ফেরেশতারা ও তাদের নেতা হযরত জিবরাইল (আ) পৃথিবীতে অবতরণ করে সকাল অবধি ইবাদতরত সব মানুষের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করতে থাকেন। তাই এই রাত সম্পর্কে নবী করীম (দ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি এই রাত্রিটি ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করবে, আল্লাহ তার জীবনের সব গুনাহখাতা মাফ করে দিবেন’ (বুখারি)।

রাতে এশার নামাজ থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মসজিদগুলো মুখরিত ছিল মুসল্লিদের ভিড়ে। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বয়স্করাও মসজিদে গিয়ে একাগ্রচিত্তে সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনায় রাতটি অতিবাহিত করেন।