অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ছাত্রলীগ নেতা তৈয়বের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম

2
.

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আবু তৈয়বের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ছাত্রলীগ।

শনিবার (২৪ জুন) বিকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রতিবাদ লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বখতিয়ার সাঈদ ইরান।

সংবাদ সম্মেণনে বলা হয়, সম্প্রতি রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরে গাড়ি বহরে হামলাকে কেন্দ্র করে

চট্টগ্রাম  উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক, মেধাবী ছাত্রনেতা মো: আবু তৈয়ব সহ উত্তর জেলা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে আসামী করা হয়। আমরা আজকের সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে উক্ত মিথ্যা মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা জানিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে সাজানো মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারে জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয় জাতীয় ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে “বিএনপি রিলিফ রাজনীতি” ও একটি সজানো মিথ্যা মামলা। দুর্যোগের প্রায় এক সপ্তাহ পর বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব রাঙামাটিতে ত্রাণ বিতরণের জন্য হঠাৎ কর্মসূচী নিয়ে নিয়ে চট্টগ্রাম আসেন। ১৮ জুন তিনি চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়ক দিয়ে রাঙামাটির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। অথচ প্রশাসনকে জানানো হয়েছিল তিনি রাঙামাটি সড়ক দিয়েই যাবেন। কোন এক গভরি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে প্রশাসন না জানিয়েই তিনি রোড পরিবর্তন করেন। যাওয়ার পথে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সদর এলাকায় তার গাড়িবহরে ধাক্কায় নীরিহ মানুষ আহত হওয়ার ঘটনার প্রেক্ষিতে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা মির্জা ফখরুল সাহেবের গাড়িতে হামলা চালায়। এটি যে বিএনপি’র একটি পরিকল্পিত ঘটনা ছিল তা ইতিমধ্যে পরিস্কার হয়ে গেছে।

এই সাজানো ঘটনার রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম আদালতে রাজনৈতিক বিদ্বেষ প্রসূত ভাবে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: আবু তৈয়ব সহ উত্তর জেলা ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে আসামী করা হয়।

আমরা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে চাই সেদিনের অভিপ্রেত ও দুঃখজনক ঘটনার সাথে ছাত্রনেতা আবু তৈয়ব সহ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ কোনভাবে জড়িত নয়। ঘটনার দিন আবু তৈয়ব চট্টগ্রাম শহরেই ছিল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু, সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী সুজন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির, আরিফুজ্জামান আরিফ, ওয়ায়েস কাদের, আবদুর রহিম শামীম, জহির উদ্দিন বাবর, মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান রুমি, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হালিম তালুকদার, আব্বাস উদ্দিন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহমুদুল হক, তরিকুল কালাম তুহিন, নুরল আলম, গিয়াস উদ্দিন মুবিন, আরাফাত, সীমান্ত, মিজানুর, রুবেল, মফিজ, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম, সোহেল, মিজানুর রহমান, নাসিম, সাইফুল,নাসির প্রমুখ।

২ মন্তব্য
  1. Fa Him বলেছেন

    ১২ বছর ধরে দুজন একি পদে বসে আছে,,,

  2. Shabuj Raihan বলেছেন

    তাহলে কি সরকারী দলের ছাত্র নেতারা স্বীকার করছেন দেশে মিথ্যা মামলার প্রচলন এখনো আছে। তাহলে কি উন্নয়ন হল দেশে ? এসবতো আগেও ছিল….