অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

নৌকা দূর্নীতি ও দূর্ভিক্ষের প্রতীক, ধানের শীষ উন্নয়ন ও উৎপাদনের প্রতীক

3
.

দেশে নীরব দূর্ভিক্ষ চলছে উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, নৌকা হচ্ছে দূর্নীতি ও দূর্ভিক্ষের প্রতীক আর ধানের শীষ হচ্ছে উন্নয়ন ও উৎপাদনের প্রতীক। আগামী নির্বাচনে জনগণ ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে নৌকাকে প্রমত্ত পদ্মায় ডুবিয়ে দেবে। আন্দোলনের মাধ্যমে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবী আদায় করে নির্বাচনে জয়লাভের মাধ্যমে বিএনপি আগামীতে সরকার গঠন করবে।

ঈদের দ্বিতীয় দিন আজ মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর কাজীর দেউরী ভিআইপি টাওয়ারস্থ ভিআইপি ব্যাংকুইট হলে ঈদ উপলক্ষে নিজ উদ্যোগে নগরীর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, পেশাজীবি, সাংবাদিক, সুহ্নদ, বুদ্ধিজীবি, মহল্লা সর্দার, জনপ্রতিনিধি এবং বিএনপি ও অংগসংগঠনসমুহের চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিন জেলা এবং পার্বত্য জেলাসমূহের নেতাকর্মীদের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সমবেত বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যদানকলে আবদুল্লাহ আল নোমান একথা বলেন।

তিনি বলেন, ৭% প্রবৃদ্ধির অর্জনের মিথ্যা অপপ্রচার করে সরকার আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রকৃতপক্ষে ৭% প্রবৃদ্ধি অর্জন হলে বিদেশীরা বাংলাদেশে চাকুরী করার জন্য আসত এবং আমাদের দেশের জনগণকে দশ হাজার টাকা বেতনের চাকুরী করার জন্য মালয়েশিয়া যেতে হত না।

নোমান বলেন, সরকার রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। জনগণের সাথে সরকারের দূরত্ব ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের পায়ের নীচে মাটি নেই। মন্ত্রী সভার কিছু অর্বাচীন সদস্য প্রতিনিয়ত মিডিয়ার সামনে তর্জন গর্জন করে সরকারকে কৃত্রিমভাবে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছে।

নোমান বলেন, বাংলাদেশে বিএনপিকে ছাড়া আর কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। ২০১৪ এবং ২০১৮ এর প্রেক্ষাপট সম্পূর্ণ ভিন্ন। ২০১৪ সালে নিয়ম রক্ষার নির্বাচনের কথা বলে প্রধানমন্ত্রী এক তরফা নির্বাচন করেছিলেন কিন্তু পরে তিনি তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে নির্বাচন দেওয়ার পরিবর্তে ক্ষমতাকে ৫ বছরের জন্য কুক্ষিগত করেছেন। ২০১৮ সালে সহায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে। আর কোন একতরফা নির্বাচন বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না।

সাবেক এ মন্ত্রী আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ ঘোষণা করেছেন। এছাড়া কিছু দিনের মধ্যেই সহায়ক সরকারের রুপরেখা দেশনেত্রী ঘোষণা করবেন। বিএনপি আন্দোলন এবং নির্বাচন দুটোর জন্যই সমানভাবে প্রস্তুত আছে।

ঈদ পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অবঃ) রুহুল আলম চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রমিক বিষয়ক সম্পাদক এ.এম. নাজিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ান, কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর হেলাল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, প্রফেসর ড. নসরুল কদির, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের যুগ্ন-সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ, ড্যাব এর সভাপতি ডাঃ খুরশীদ জামিল চৌধুরী, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক এম.এ. সবুর, এডভোকেট আবদুস সাত্তার, কাজী আকবর, কাজী বেলাল, পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোজাফ্ফর আহমদ চৌধুরী প্রমূখ।

নোমান আগত অতিথিদের স্বাগত জানান এবং কোলাকুলি করেন। তিনি নিজ হাতে অতিথিদের আপ্যায়ন করান এবং সবার সাথে কুশল বিনিময় করেন। হাজার হাজার তৃণমূলের নেতাকর্মী, শুভাকাঙ্খী ও আমন্ত্রিত অতিথিদের আগমনে মূখরিত হয়ে ওঠে ভিআইপি ব্যাংকুইট হল। এছাড়া ব্যাপক লোক সমাগমের কারনে ভিআইপি ব্যাংকুইট হলের বাইরেও প্রচুর নেতাকর্মীর সমাগম পরিলক্ষিত হয়।

৩ মন্তব্য
  1. Mohammad Kaysh বলেছেন

    Right…!!

  2. Sohel Rana বলেছেন

    hmmmm

  3. Zane Alam Siddique Babor বলেছেন

    ঈদের দিন ও হাতাহাতি মারামারির প্রতীক ♬♬♬♬♬♬♬♬♬⚽⚽⚽⚽⚽⚽⚽