অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

স্বৈরাচারী কায়দায় হাসিনা গণমাধ্যমের উপর স্টীম রোলার চালাচ্ছে

0
CTG BNP-16.06
নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে সংবাদপত্রের কালো দিবসের আলোচনায় সভায় বক্তব্য রাখছেন ডা.শাহাদাত হোসেন।

কেন্দ্রিয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ একদলীয় বাকশাল গঠনের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৬ই জুন আওয়ামী পন্থী ৪টি সংবাদপত্র রেখে বাকি সব সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। আজ সে সংবাদ পত্রের কালো দিবস। বর্তমানে একই কায়দায় স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার গণমাধ্যমের উপর স্টীম রোলার চালাচ্ছে।

তিনি আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ১৬ জুন সংবাদপত্রের কালো দিবসে উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় ডা.শাহাদাত আরো বলেন, দেশে আজ কারো বাক-স্বাধীনতা নেই। সমগ্র দেশ আজ একটি কারাগারে পরিণত হয়েছে। সত্য কথা বলার কারণে আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ হয়ে আছে। সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান, মাহমুদুর রহমান মান্না, শফিক রেহমানকে মামলা দিয়ে কারাগারে রাখা নিক্ষেপ করেছে এবং সাংবাদিক শওকত মাহমুদকে ৫৮টি মামলা দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক মাহফুজ আলমকে শত শত মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। টিভি চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টেলিভিশন ও ইসলামিক টিভি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সংসদে সম্প্রচার নীতিমালা আইন ২০১৪ প্রণয়নের মাধ্যমে সাংবাদিকদের টুটি চেপে ধরেছে। আর আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার খর্ব করে। এই সরকার আবারো ’৭৫ এর ন্যায় দেশ পরিচালনা করছে।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি বলেন, সরকারের কথামত সংবাদ পরিবেশন করা না হলে পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। সংবাদপত্র দেশের দূর্নীতি কিংবা সত্য কথা লিখলে সংবাদপত্রের উপর খড়গ নেমে আসে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং সমস্ত রাজনৈতিক দলের মত প্রকাশের মাধ্যমে রাজনীতি করার দ্বার খুলে দিয়ে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে বহু দলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থেকে শুরু করে সকল দল রাজনীতি করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মো. আলী,  আনোয়ার হোসেন লিপু, শাহেদ বক্স, কামরুল ইসলাম, গাজি সিরাজ উল্লাহ, জেলী চৌধুরী, হাজী মীর কাউসার এলাহী, মঞ্জুর রহমান চৌধুরী, তৌহিদুস সালাম নিশাদ, আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নাসির উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা এম এ মতিন, মো. আলী মিটু, এরশাদ উল্লাহ, জসিম উদ্দীন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া, জালাল উদ্দীন সোহেল, ম. হামিদ, আবদুল জলিল, নিজাম উদ্দীন, নুর হোসেন নুরু, সাদেকুর রহমান রিপন, মোস্তাকিম মাহমুদ, আবু বকর সিকদার, মো. সালাউদ্দীন শাহেদ।