অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

প্যারাবন নিধনের অভিযোগে যুবলীগ ছাত্রদল নেতাসহ আসামী ১৮০

0
moheshkhali-Gach-kata
মহেশখালিতে ধ্বংস করা হচ্ছে প্যারাবন। ফাইল ছবি

কক্সবাজারের মহেশখালীতে সরকারী প্যারাবন কেটে চিংড়ী ঘের তৈরির চেষ্টা ও বনকর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় ১৮০ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ১৫ জুন রাতে ঘটিভাংগা বিট কর্মকর্তা বিপ্লব হোসেন বাদি হয়ে দায়েরকৃত মামলায় জেলা যুবলীগ-ছাত্রদল নেতাসহ ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১৮০ অজ্ঞাতনামা আসামী দেখানো হয়।

জানা যায়, চট্টগ্রাম উপকুলীয় বনবিভাগের মহেশখালী গোরকঘাটা রেঞ্জাধীন ঘটিভাংগা বিটের ভরাট চরভুমি রয়েছে। ১৩ জুন সকালে এই চরভুমি দখল করে চিংড়ি ঘের তৈরীর জন্য প্যারাবন, মাটি কেটে রিংবাধ দেওয়ার চেষ্ঠা করে বড় মহেশখালীর হাজী মোস্তাক আহমদের ছেলে ও কক্সবাজার জেলা যুবলীগ এর অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সাজেদুল করিমের নেতৃত্বে একদল ভুমিদস্যু। এসময় বনকর্মীরা বাধাঁ দিতে গেলে তাদের উপর হামলা চালায়।

এলোপাতাড়ি মারধরে আহত হন বনবিট কর্মকর্তা বিপ্লব হোসেন ও বনকর্মী হামিদুর রহমান। পরে বনকর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করলে তারা আত্মরক্ষার্থে ১৬ রাউন্ড ফাকাাঁ গুলি বর্ষন করে। এসময় পাঁচ একর বনভুমির ৫ হাজার প্যারাগাছ নির্বিচারে কেটে ফেলা হয়।

এঘটনায় ১৫ জুন রাতে মহেশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন হামলায় আহত বিট কর্মকর্তা বিপ্লব হোসেন। মামলার আসামীরা হলেন, বড় মহেশখালীর হাজী মোস্তাক আহমদের ছেলে ও জেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সাজেদুল করিম, তার ভাই মহেশখালী উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আজিজুল করিম জয়, শহিদুল্লাহ-১, রহমত উল্লাহ, মোহাম্মদ উল্লাহ, এরশাদ উল্লাহ মুন্না, আনছার উল্লাহ, সেলিম উল্লাহ, নবীর হোসেন, শহিদুল্লাহ-২, নুরুল হোসেন, আনছার উল্লাহ-২, নেছার আহমদ, জাফর আলম, নুরুল কবিরসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৮০ জন।

গোরকঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুল হক জানান, সরকারী প্যারাবন কর্তন, মাটি খেটে খাই খন্দক করে মৃত্তিকার ভৌগলিক অবয়ব বিনষ্ট ও পরিবেশ এবং প্রতিবেশ বিনষ্টের পাশাপাশি মৎস্য ও জলপ্রাণীর আবাসস্থলে বংশ বিস্তারের ক্ষতিসাধনসহ অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে ভুমিদস্যু দল। সরকারী বনকর্মীদের উপর হামলা, প্যারাবন ধ্বংস সহ নানা অভিযোগে ১৫ জুন রাতে অজ্ঞাতনামা সহ ১৮০ জনের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।