অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ফটিকছড়িতে ধানের শীষ নিয়ে লড়তে চান তারুণ্যের প্রতীক কাদের গনি

1
ফটিকছড়িতে সামাজিক কর্মকাণ্ডে।

আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এবার আগে ভাগেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে। এবারে নির্বাচনে বড় দুইটি দলের মধ্যে নতুন প্রজন্মকে নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে তরুণ প্রজম্মের বিশাল একটা অংশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী। আওয়ামী লীগ-বিএনপির নীতি নির্ধারকরাও এ ব্যাপারে অনেকটা পজেটিভ।

তাই দুই দলের অনেক প্রাথী ইতোমধ্যে নিজ নিজ আসনে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে নিজের পরিচিতি তুলে ধরার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।

ফটিকছড়িতে সাংবাদিক কাদের গণির তৎপরতা।

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসন থেকে এবারের নির্বাচনে এমনই একজন তারুণ্যের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। তিনি হলেন,  বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক  সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী।

কেন্দ্রের গ্রীন সিগন্যাল পেয়ে তিনি ইতোমধ্যে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে লড়তে তৎপর হয়ে উঠেছেন।

হালদার ভাঙ্গন পরিদর্শন করছেন কাদের গণি চৌধুরী।

আগ্রহী এ তরুণ সম্পর্কে জানাগেছে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পর কিছুদিন সরাসরি রাজনীতি করলেও পরে সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন কাদের গনি। এ সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। ছিলেন ডাকসু চলচ্চিত্র সংসদের এজিএস। বিএনপির অন্যতম অঙ্গ সংগঠন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস)-এর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার দমদমা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাদের গনি চৌধুরী। উপমহাদেশের অন্যতম কামেল অলি হজরত শাহ সুফি সৈয়দ আব্দুল গনি চৌধুরীর দৌহিত্র তিনি। দীর্ঘদিন ধরে গণমাধ্যমে কাজ করা এই পেশাজীবী নেতা বর্তমানে দৈনিক আমার দেশে সিনিয়র সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত। দুইবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদক।

ফটিকছড়িতে কাদের গণি।

নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে কাদের গনি চৌধুরী পাঠক ডট নিউজের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে খ্যাত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনা অত্যন্ত কঠিন। তারপরও আমি ব্যক্তিগত যোগাযোগ, বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান, বিগত রোজায় ইফতার পার্টিসহ ঈদের পরেও বেশ কয়েকটি এলাকায় জনসংযোগ করেছি। হালদা নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন, বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছি।’

এলাকায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতনের বর্ণনা দিতে গিয়ে কাদের গনি বলেন, ‘সারাদেশে বিরোধী দলের ওপর নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় বর্তমান সরকারের আমলে ফটিকছড়ির লেলাং ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও জনপ্রিয় বিএনপি নেতাকে গুম করা হয়েছে। দাঁতমারা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল গনিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। ফটিকছড়ি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামছুল আলম জুয়েলকে পুলিশ রিমান্ডের নামে পঙ্গু করে দেওয়া হয়। পরে জেলে থাকাবস্থায় তার দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় জামিনে মুক্তি মিললেও তিনি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ভুজপুরে বিএনপির ৭০০ নেতাকর্মীকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। বছরের পর বছর তারা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এদের অনেককে গ্রেফতার করে নির্যাতনের মাধ্যমে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে।’

অসুস্থ্য ছাত্রদল নেতার পাশে কাদের গণি চৌধুরী।

‘এই ভীতিকর অবস্থা থেকে সাধারণ জনগণ মুক্তি চায়’ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ফটিকছড়ির জনগণ উদগ্রীব হয়ে আছে সরকারের এসব অপকর্মের জবাব দিতে। যার মাধ্যমে তারা তাদের পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে। তাই আমি মনে করছি, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে ফটিকছড়িতে বিএনপি ৭০ শতাংশ ভোট পাবে।’

দলের মনোনয়ন বিষয়ে এই পেশাজীবী নেতার বক্তব্য, ‘এলাকার জনগণের দুঃসময়ে তাদের পাশে থেকে কাজ করেছি। অনেক দিন ধরেই বিএনপিকে শক্তিশালী করতে আমার এলকায় কাজ করে যাচ্ছি। প্রতিটি কর্মসূচিতে বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। সার্বিক বিষয়ে চিন্তা করেই আমি দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তারপরও দল যাকে মনোনয়ন দিবে তারপক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে ফ্যাসিবাদি শক্তিকে পরাজিত করতে হবে।’

ফটিকছড়ি বাসীর ভালোবাসায় সিক্ত কাদের গণি।

কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘দেশের জনগণের সেবা করার ব্রত নিয়েই আমার রাজনীতিতে আসা। রাজনীতি মানবসেবা ও দেশের সেবা করার মাধ্যমে উন্নয়নে ভ‚মিকা রাখা। মানবতার এমন তাগিদ নিয়ে কাজ করার জন্যই আমি মূলত রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি। আমার রাজনীতি করার মূল উদ্দেশ্য সুখে-দুঃখে মানুষের পাশে থাকতে চাই। অনেকে কিছু পাওয়ার জন্য, নিজের ব্যবসাকে প্রসার করার জন্য, নিজেকে হামবড়া দেখানোর জন্য রাজনীতি করেন। কিন্তু আমি মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করছি এবং সেটাই করে যেতে চাই। জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটিয়ে সমাজের সার্বিক মুক্তি আনয়নই আমার লক্ষ্য।’

রাজপথে সক্রিয় কাদের গণি।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির মনোনয়ন পেলে ও ধানের শীষ প্রতীকে বিজয়ী হলে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ফটিকছড়ি গড়ার প্রত্যাশা আমার রয়েছে। এছাড়াও উন্নয়ন বঞ্চিত ফটিকছড়িকে সামাজিক অবকাঠামোগত উন্নয়নে আমি সচেষ্ট থাকব।’

গণি বলেন, ‘ফটিকছড়ির নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণের উদ্দেশে বলতে চাই শত জুলুম-নির্যাতনের মুখে আপনারা ঐক্যবদ্ধভাবে থেকে ফ্যাসিবাদী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করুন। সরকারি দলের প্রতি আহ্বান থাকবে রাজনৈতিক সহাবস্থানের প্রতি সম্মান দেখিয়ে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি পালনে বৈরিতার পথ পরিহার করুন।’

১ টি মন্তব্য
  1. Fa Him বলেছেন

    তৃনমূল এ প্রভাব খুব ফেলতে পারেনি,,
    খুব কম মানুষ উনাকে চিনেন,,