অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

আটকে গেলো রণি’র মুক্তি

0
69584_0
নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজীম রণি’র ফাইল ছবি।

কারাগারে বন্দি চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণি’র বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলার চাজশীর্ট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেছে পুলিশ।

রবিবার দুপুরে চট্টগ্রাম চতুর্থ বিচারিক হাকিম শহীদুল্লাহ কায়সারের আদালতে অভিযোগপত্রটি দাখিল করা হয়েছে। আদালত অভিযোগপত্র সিন করে পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। ফলে উচ্চ আদালত থেকে জামিন ফেলেও সহজে মুক্তি মেলছে না আলোচিত এ ছাত্র নেতার।

এ ব্যাপারে রণির আইনজীবী এডভোকেট রণি কুমার দে পাঠক নিউজকে বলেন, যেহেতু জামিন আদেশ আসার আগেই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে সেক্ষেত্রে আপাততে রণির মুক্ত হবার সুযোগ নেই। তাকে আবারও জামিনের আবেদন করতে হবে।

চট্টগ্রাম আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় অস্ত্র আইনে মামলায় মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। অভিযোগপত্রে ২২ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য গত ৭ মে বেলা সোয়া ১২টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলাকালে হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর একটি ভোট কেন্দ্রে ঘুরাফেরা করার সময় নগর ছাত্রলীগের প্রভাবশালী এ নেতাকে আটক করেন ভ্রাম্যমান আদালতের জুড়েশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হারুনুর রশিদ। পরে তার দেহ তল্লাশী করে একটি নাইন এম এম পিস্তল ১৫ রাউন্ড গুলি ও ২৬ হাজার উদ্ধার করা হয়। প্রথমে বিজিবির সদস্যরা তাকে আটক করলেও পরে হাটহাজারী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

পরে ম্যাজিষ্ট্রেট নির্বাচনী বিধিমালা ২০১৬ এর দুটি ধারায় এক বছর করে মোট দুই বছর কারাদ- দেন। এবং ঐদিন রাতে পুলিশ বাদী হয়ে রণির বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরদিন সকালে তাকে সরাসরি কারাগারে পাছানো হয়।

নূরুল আজিম রণি রাজনীতিতে চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী।

সম্প্রতি রণি’র নেতৃত্বে চট্টগ্রাম সরকারী কলেজ ও পার্শ্ববর্তি মহসীন কলেজ পুলিশের সহযোগিতায় জামায়াত শিবিরের কাছ থেকে ছাত্রলীগ দখল করে নেয়ার পর থেকে নূরুল আজিম রণি আলোচিত হয়ে উঠেন। গ্রেফতারের দুই দিনের পর থেকে রণি হার্টের অসুস্থতায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে পুলিশ প্রহরায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।