অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ফটিকছড়িতে ফুটবল খেলায় সংঘর্ষে আহত ২০

0
.

৪৬তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল ও মাদ্রাসা গ্রীষ্মকালীন খেলাধুলা-১৭ এর ফটিকছড়ি উপজেলার দুই জোন চ্যাম্পিয়নদের ফাইনাল খেলায় মারামারির ঘটনা ঘটেছে। শনিবার জাহানপুর আমজাদ আলী আব্দুল হাদী ইনস্টিটিউশন মাঠে ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় দর্শক শিক্ষার্থী মিলে ২০ জনের মত আহত হয় বলে স্থানীয়রা জানায়।

জাহানপুর জোনের চ্যাম্পিয়ন সমিতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে নানুপুর জোনের চ্যাম্পিয়ন নানুপুর আবু সোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ের মধ্যে ফাইনাল খেলাটি শনিবার বিকালে নিরপেক্ষ ভ্যানু হিসেবে জাহানপুর আমজাদ আলী আব্দুল হাদী ইনস্টিটিউশন উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে হয়।

খেলা শুরুর ঠিক ১০ মিনিটের মধ্যে সমিতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয় (১-০) গোলে এগিয়ে যায়। এর পরপরই দর্শক সারি থেকে গণ্ডগোল শুরু হয়। দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠনের দর্শকদের মধ্যে মারামারি হলে জাহানপুর আমজাদ আলী আব্দুল হাদী ইনস্টিটিউশনের ছাত্ররা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। এতে অতর্কিতভাবে জাহানপুর আমজাদ আলী আব্দুল হাদী ইনস্টিটিউশনের ছাত্র স্থানীয় বাসিন্দা ফয়সাল আহত হয়। পরে ত্রিমুখী সংঘর্ষে রূপ নেয়।

নানুপুর আবু সোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ শাহাজাহান জানান, দর্শক সারি থেকে মারামারির সূত্রপাত। এতে আমার স্কুলের ১৫ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। নিরাপত্তা কর্মী ছিল অপ্রতুল, যা ছিল তারাও দর্শকের ভূমিকায় ছিল।

সমিতিরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ মাঈনুদ্দিন জানান, দর্শক সারি থেকে গন্ডগোলের সূত্রপাত। আমার স্কুলের কেউ আহত হয়নি। তবে, আবু সোবহান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আচরণ ছিল মারমখী।

খেলা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মুহাম্মদ মফিজুর রহমান জানান, খেলার নিরাপত্তার রক্ষায় পুলিশ ছিল। দর্শক সারি থেকে গন্ডগোলের সূত্রপাত। খেলাটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছি।

তার মতে, খেলায় কোন শিক্ষার্থী আহত হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই সকালে দৌলতপুর এবিসি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলার নাজিরহাট জোনের আজিম নগর আহমদীয়া রহমানীয় উচ্চ বিদ্যালয় ও গোলতাজ মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের মধ্যে ফাইনাল খেলায় মারামারির ঘটনায় নয় শিক্ষার্থী আহত হয়েছিল।