অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চবির ৩৩ শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রপতি পদক প্রদান

0
.

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৩৩ কৃতি শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রপতি রচনা প্রতিযোগিতা পদক প্রদান করা হয়েছে। রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে এক আড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরষ্কার বিতরণ করা হয়।

২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বাংলা ও ইংরেজী রচনা প্রতিযোগিতায় প্রথম ১৭ জনকে স্বর্ণপদক ও দ্বিতীয় স্থান অধিকারী ১৬ জনকে নগদ টাকা ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছি লেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষমন্ত্রী বলেন, ‘শুধুমাত্র ক্লাস, শ্রেণী কক্ষ, সিলেবাস দিয়েই জীবন পরিপূর্ণ হয় না। বাহিরের জগত থেকে জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে জীবনে পরিপূর্ণতা আনতে হয়। চারপাশের জগত থেকে জীবনমূখী শিক্ষা অর্জন করে তরুণ সমাজকে এগিয়ে যেতে হবে। এসকল প্রতিযোগিতা বাহ্যিক জ্ঞার অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।’

তিনি বলেন, ‘আট বছর আগে যারা পড়াশুনো শেষ করেছে তাদেরও আজ পুরষ্কৃত করা হয়েছে। এসব প্রতিযোগিতা পুরুস্কার টাটকা হওয়া উচিত। এত দেরিতে হলে অনুপ্রেরণা হারাবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য ও ফটোগ্রাফি শাখা) মো. ফরহাদ হোসেন খানের সঞ্চালণায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগের সচিব বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. সোহরাব হোসাইন। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর ড. কামরুল হুদা, চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মিহির কুমার রায়, ডিনস কমিটির আহ্বায়ক ও কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সেকান্দর চৌধুরী, অফিসার সমিতির সভাপতি এ কে এম মাহফুজুল হক। এছাড়া পদক প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষে অনুভূতি প্রকাশ করেন হুমায়ুন কবির ও রেজওয়ানা ইসলাম। অনুষ্ঠানের শেষে ধন্যবাদজ্ঞাপন বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল মুক্তির জন্য। আজ দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু আমরা এখনো মুক্তি পাইনি। আজ অর্থনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির প্রয়োজন। মুক্তিযোদ্ধারা উন্নত ও মর্যাদাপূর্ণ দেশ পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই আমাদের লক্ষ্য।’