অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

ফেসবুক নির্ভর অপরাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে

0
.

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, প্রয়াত প্রবীণ জননেতা ইছহাক মিয়া বঙ্গবন্ধুর ভাবাদর্শে নিজের রাজনৈতিক জীবনকে গড়ে তুলেছিলেন। তৃণমূল স্তরে মিশে গিয়েছিলেন বলেই তিনি গণমানুষের নেতা হতে পেরেছেন। তাই দৃঢ়তার সাথে জানিয়ে দিতে চাই, আমরা ফেসবুক রাজনীতি চাই না। তৃণমূল স্তরে জনগণের কাছে না গিয়ে নেতা হওয়া যাবে না। তাই ইছহাক মিয়ার পদাঙ্ক অনুসরণ করে মানুষের সাথে নাড়ির বন্ধন সৃষ্টি করতে হবে।

তিনি রবিবার বিকেলে নগরীর মুসলিম ইনস্টিটিউট হলে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, গণপরিষদ ও জাতীয় পরিষদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মরহুম মোহাম্মদ ইছহাক মিয়ার শোকসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

.

তিনি আরো বলেন, ইছহাক মিয়া স্বৈরাচার বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথের সৈনিক এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক কর্মী ছিলেন। তাঁর মত রাজনীতিকরাই নেতা হবার যোগ্য এবং তারাই সংগঠনের প্রাণশক্তি।

তিনি উল্লেখ করেন, বঙ্গবন্ধু ইছহাক মিয়াদের মত কিছু বিশ্বস্ত সহচর পেয়েছিলেন বলেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা আনতে পেরেছেন। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। তাঁর ভিশন-মিশন বাস্তবায়নে বিশ্বস্ত, ত্যাগী ও সাহসী নেতাকর্মীরাই সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি।

সভাপতির ভাষণে আলহাজ্ব এ.বি.এম. মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ইছহাক মিয়ার শোকসভাকে উপলক্ষ করে আজ আমাদেরকে একে-অপরের কাছে আসার সুযোগ করে দিয়েছে। শোকের আবহের মধ্যেও সবাই একসাথে হতে পারা খুশীর ব্যাপার। তিনি আরো বলেন, অসাধু সুবিধাবাদী রাজনীতিকদের সংস্পর্শ ত্যাগ করতে হবে। নেতৃত্বে সৎমানুষের নিয়ে আসতে হবে। সৎ মানুষরাই মানুষের আস্থাভাজন হন এবং তারা দল, দেশ ও জাতির সম্পদ।

বিশেষ অতিথির ভাষণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এম.পি বলেছেন, মরহুম ইছহাক মিয়া সুযোগ থাকা সত্ত্বেও বিত্তবান হতে চাননি। সততাই ছিলো তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট। তিনি নিজেকে বঙ্গবন্ধুর কর্মী পরিচয় দিতে ভালেবাসতেন।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের সংগঠন নয়, কর্মীদের সংগঠন। এই কর্মীদের সুখ-দুঃখের সাথী হতে পারলেই নেতা হওয়া সম্ভব।

.

প্রধান বক্তারা বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ.কে.এম এনামুল হক শামীম বলেছেন, ইছহাক মিয়ার মতন নেতাদের জন্যই আওয়ামী লীগ উপমহাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল হতে পেরেছে। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষের মুক্তির জন্য অপরিহার্য, তাঁকে ক্ষমতায় রাখতে হলে তৃণমূল স্তরে ঐক্যের দৃঢ় ভিত্তি গড়ে তুলতে হবে।

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, মরহুম ইছহাক মিয়া আমৃত্যু গণমানুষের সাথে ছিলেন। তিনি বৈষয়িক চিন্তা করেন নি। তবে মনের বিশালতায় তিনি সমৃদ্ধ ছিলেন। তাই তিনি মৃত্যুর পরও মানুষের হৃদয়ে অবস্থান করবেন। তিনি বলেন, রাজনীতি নিজের পরিবর্তনের জন্য নয়, জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই রাজনীতি। রাজনীতিতে যারা শুধু নেতা হয়ে থাকতে চান তারা অবশ্যই গণবিচ্ছিন্ন হবেন।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: এম.এ. ছালাম বলেন, মরহুম ইছহাক মিয়া ছিলেন গণমুখী। তিনি বটবৃক্ষের মত আমাদের ছায়া দিয়েছেন। এই ছায়াতলে থেকে আমরা মানুষের জন্য রাজনীতি করার দীক্ষা পেয়েছি।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোকসভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উত্তর জেলার সহ-সভাপতি এডভোকেট ফখরুদ্দিন চৌধুরী, মহানগরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব বদিউল আলম, উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, দক্ষিণের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদা মহিউদ্দিন, মহিলা সাংসদ ওয়াসিকা আয়েশা খাঁন, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান শেখর ও মরহুম ইছহাক মিয়ার বড় সন্তান মোহাম্মদ রেজওয়ান।

সভার শুরুর আগে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এছাড়া সভামঞ্চে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব নঈমুদ্দিন চৌধুরী, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, জহিরুল আলম দোভাষ, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, এড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ ইদ্রিস, সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী, সাংসদ সাবিহা মুসা, জসিম উদ্দিন, ইউনুছ গণি চৌধুরী, এম.এ. রশিদ, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, হাসান মাহমুদ হাসনী, প্রদীপ দাশ, আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, এড. ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, প্রকৌশলী মানস রক্ষিত, দিদারুল আলম চৌধুরী, আলহাজ্ব আবু জাফর, বোরহান উদ্দিন এমরান, এড. মির্জা কচির উদ্দিন, এড. কামরুন্নাহার, এড. আবদুর রশিদ, খোরশেদ আলম, শাহীন হায়দারসহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।