অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

চট্টগ্রামে দুই কাপড় দোকানীতে দুই লাখ টাকা জরিমানা

0
DSC_1735
অভিযানকালে টেরী বাজারের এই দোকানটিতে (স্টার প্লাস) অতিমুনাফা লাভের কারণ জানতে চান ম্যাজিষ্ট্রেট তাহমিলুর রহমান।

ঈদে কাপড়ের বাজার স্থিতিশীল রাখতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন মার্কেট, শপিং মল ও বাজারগুলোতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কাপড় বিক্রিতে অধিক মুনাফা লাভের অভিযোগে প্রথম দুইদিন কাপড় ব্যবসায়িদের সর্তক করা হলেও এবার আর ছাড় নেই। রবিবার নগরীর টেরী বাজার ও মিমি সুপার মার্কেটে অভিযানকালে দুটি কাপড়ের দোকানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠান দুটি হলো-মিমি সুপার মার্কেটস্থ “আর্কষন” ও টেরী বাজারস্থ স্টার প্লাস।

অভিজানের নেতৃত্ব দেয়া জেলা প্রশাসনের  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব তাহমিলুর রহমান বলেন, গত বুধবার হতে শুরু হওয়া এ  অভিযানের প্রথম দিকে সবাইকে সর্তক করা হয়। সে সময় মিমি সুপার মার্কেটস্থ ইয়ং লেডি ও টেরী বজারস্থ স্টার প্লাসে অতিমুনাফার ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদর্শনের ব্যর্থতার প্রমাণ পাওয়ার গেলেও তাদের পরবর্তীতে এরকম না করার শর্তে শুধুমাত্র সতর্ক করে ছেড়ে দেওয়া হয়।

01
নগরীর একটি অভিজাত বিপনীতে ক্রেতাবেশে দরদাম করছেন অভিযানকারী দলের সদস্যরা।

আজকের অভিযানের সময় টেরী বাজারের এই দোকানটিতে (স্টার প্লাস) আবারো  অতিমুনাফা অর্জনেরও প্রমাণ পাওয়া যায়। তাদের ৫৩৭০ টাকা ক্রয়মূল্যের লেহেঙ্গা ১১৮৬০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায় যা ক্রয়মূল্য থেকে ৬৪৯০ টাকা বেশী। ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদর্শনের ব্যর্থতা ও অতিমুনাফা অর্জনের প্রেক্ষিতে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এই দোকানটিকে।

পরবর্তীতে মিমি সুপার মার্কেটে গেলে “ইয়ং লেডি” সহ অনেক দোকান প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদর্শন করে। বিশেষত গত বুধবারের অভিযানের পর সক্ষম হলেও কাপড়ের দোকান “আর্কষন” এ গিয়ে বিপুল মুনাফায় কাপড় বিক্রয় করতে দেখা যায়। এসময় দোকানটিকে ১৫৯০০ টাকা ক্রয়মূল্যের লেহেঙ্গা ৩৫৫০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়, যা ক্রয়মূল্য থেকে ১৯৬০০ টাকা বেশী!! এ দোকানে অধিকাংশ পণ্যেরই এমন উচ্চমূল্য লক্ষ করা যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদর্শনের ব্যর্থতা ও অতিমুনাফা অর্জনের প্রেক্ষিতে রেডিমেট কাপড়ের এই দোকানটিকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন।

02
নগরীর শপিং মলে কাপড়ের দোকানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

এ সময়ে ভ্রামমাণ আদালতকে সহায়তা প্রদান করেন আরো দুই ম্যাজিষ্ট্রেট অনুপমা দাস ও ইশ্‌তিয়াক আহ্‌মেদ। উপস্থিত ছিলেন-ক্যাব সদস্য জনাব জান্নাতুল ফেরদৌস ও তৌহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম চেম্বার এর প্রতিনিধি জনাব মোঃ মোকাম্মেল হক খান। এসময় পুলিশ ও ব্যাটলিয়ন আনসার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন করেন।

উল্লেখ্য সামনের ঈদ-উল-ফিতরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম নগরীতে জমে  ওঠা  ৩০টি মার্কেট ও ১০টি বড় শপিং হাউজে অতিরিক্ত মুনাফা রোধে জেলা প্রশাসনের এ অভিযান চলমান থাকবে।

এদিকে ফইল্লাতলি বাজারে মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় একটি দোকানকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। আদালত পরিচালনা করেন সাব্বির রাহমান সানি। স্টিল মিল বাজারে মুন বেকারি তে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য প্রস্তুত ও পোড়া তেলে ইফতার তৈরী করায় ৩০০০০ টাকা ও দুই দোকানে অতিরিক্ত মূল্যে পণ্য বিক্রয় করায় ২০০০০ টাকা করে মোট  পঞ্চাশ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট ফোরকান এলাহী অনুপম।