অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

সাতকানিয়ার চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যা মামলার যুক্তিতর্ক শুনানী শুরু

0
.

সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন হত্যা মামলার ১৮ বছর পর সাক্ষ্য পর্ব সমাপ্ত শেষে যুক্তিতর্ক শুরু করেছে আদালত।

বুধবার ২ আগস্ট ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মাসুদ করিমের আদালতে সোনাকানিয়ার তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনকে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি করে হত্যা করা মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানী শুরু হয়।

প্রথম দিনে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানীতে অংশ নেন এপিপি এড. হুমায়ুন কবির বাদশা, এডি. মো. দেলোয়ার হোসেন, বাদীপক্ষের আইনজীবী এস ইউ এম নুরুল ইসলাম।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ অক্টোবর’ ৯৯ রাত ১২ টায় সাতকানিয়া থানাধীন মির্জাখীল বাংলা বাজারের একজন মেম্বারসহ চা এর দোকানে চা পান করছিলেনা তৎকালীন সোনাকানিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন। চা এর দোকানে ঢুকে একদল সন্ত্রাসী তাকে প্রথমে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সে মির্জাখীল দরবার শরীফের দিকে আসার সময় দরবারের গেইটে হঠাৎ পড়ে গেলে সেখানে সন্ত্রাসীরা পুনরায় গুলি করে। তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় সাতকানিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।

এ ব্যাপারে তার স্ত্রী ছৈয়দা রওশন আক্তার বাদী হয়ে হত্যাকান্ডে জড়িতদের মধ্যে লুৎফুর রহমান, ঠোটকাটা মানিক, নেজাম, ইদ্রিচ, রাশেদ, জাহেদ, রফিকসহ ২০ জনের নাম দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

মামলাটি প্রয়াত এ এস পি (সিআইডি) কাদের খানসহ ৪ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পর্যায়ক্রমে তদন্ত শেষে ২২ ডিসেম্বর’২০০০ চার্জশীট দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২৬ অক্টোবর’-২০০০ চার্জ গঠনের পর মামলাটি দ্রুত বিচার আদালতসহ পর্যায়ক্রমে ৩টি আদালতে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনাকালে ৫ জন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীসহ ২১ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন। গত ৯ মার্চ’১০ সাক্ষ্য পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পর দীর্ঘ ৭ বছর পর বুধবার ৬ষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ১ম যুক্তিতর্ক শুনানী হয়। যুক্তিতর্কে এ সকল সাক্ষীদের বক্তব্য রাষ্ট্রপক্ষ এবং বাদীপক্ষের আইনজীবী উপস্থাপন করেন।

সে সাথে ময়না তদন্ত এবং ছুরুত হালের রিপোর্ট অনুযায়ী নিহত চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের ৫টি গুলির আঘাত এবং ১৫টি ফিনার ইনজুরি রয়েছে বলে আদালতকে জানান। আদালত দীর্ঘ শুনানীর পর আগামী ৭ আগস্ট পুনরায় যুক্তিতর্ক শুনানীর জন্য তারিখ নির্ধারণ করে।

দীর্ঘ ১৮ বছর পর সাতকানিয়া সোনাকানিয়ার তৎকালীন চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন এলাকার সন্ত্রাস নির্মূল এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদের রেজুলেশন নিয়ে অপরাধ দমনে কাজ করায় এ হত্যার স্বীকার হয়েছেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী আদালতে উপস্থাপন করেন।

তিনি বলেন, চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন দু’ দুইবার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকায় জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে সংঘবদ্ধ একটি চক্র তাকে গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার দিন ছিল মির্জাখীল দরবার শরীফের ওরশ। শত শত মানুষ এ হত্যাকান্ড পর্যবেক্ষণ করলেও ভয়ে অনেকে সাক্ষী দিতে আসেনি বলে তিনি দাবী করেন। তিনি আরও বলেন, এ জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি আমজাদ হোসেনের পরিবার দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে আমজাদ হত্যাকারীদের বিচার দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছেন।