অনুসন্ধান - অন্বেষন - আবিষ্কার

রণি গ্রুপকে পিটিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়া করেছে পুলিশ

0
CTG BSL-
চট্টগ্রাম কলেজে পুলিশের সাথে সংর্ঘষ চলাকালে তোলা ছবি।

চট্টগ্রাম সরকারী কলেজে বহিরাগতদের পক্ষ হয়ে নগর ছাত্রলীগ সাধারণ কারাবন্দি নূরুল আজিম রণি গ্রুপকে লাঠিপেটা করে ক্যাম্পাস ছাড়া করেছে পুলিশ।  এসময় পুলিশের সাথে ছাত্রলীগের একাংশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে এই সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের লাটিচার্জে ৭/৮ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। তারা সবাই রণি গ্রপের বলে জানাগেছে।

আহতদের মধ্যে ৩ জনের নাম জানাগেছে। তারা হলেন- মনির, নায়েম ও মাহমুদুল করিম। এদের মধ্যে মনির ও নায়েমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চকবাজার থানার ওসি আজিজ আহমেদ জানান, গত দুই দিনের সংঘর্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ও কলেজে ভর্তি কার্যক্রম নির্ভিগ্ন করতে কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজ ক্যাম্পাসে বহিরাগত ও নিয়মিত শিক্ষার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে প্রবেশ করার চেষ্টা করে। এতে পুলিশ বাধা দিলে বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মীরা পুলিশের উপড় চড়াও হয়। পরে পুলিশ লাটিচার্জ করে তাদের ক্যাম্পাস এলাকা থেকে সরিয়ে দেয়।

এদিকে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে কলেজ প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী সমর্থিত ছাত্রলীগের একটি অংশ ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল করিমের নেতৃত্বে কলেজে প্রবেশের চেষ্টা করে। এই সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সাথে ছাত্রলীগ কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ৭/৮ জন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে। মূলত নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রণি কারাগারে বন্দিথাকাবস্থায় প্রতিপক্ষ গ্রুপ চট্টগ্রাম কলেজ তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য অধিপত্য বিস্তার ভর্তি বাণিজ্য নিয়ে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রুপ এবং সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাসির গ্রুপ সমর্থিত ছাত্রলীগের দুই অংশ গত তিন দিন ধরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছে। গতকাল সংর্ঘষ চলাকালে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে একছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কলেজ ছামাহমুদুল করিম জানান, আমরা শান্তভাবে মিছিল নিয়ে কলেজে প্রবেশের সময় পুলিশ আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে ৮ জনকে আহত করে। তিনি বলে কোন বহিরাগত ছিল না সবাই কলেজের ছাত্র।